যুদ্ধে অংশ নিতে এসেছেন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক : রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় ইউক্রেন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রিজার্ভ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব মানুষ সেখানে পৌঁছেছেন।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ভ্লাদিমির তিমলিয়ানস্কি রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, “আংশিক সৈন্য পাঠানোর প্রথম দিন চলাকালে ডাকার অপেক্ষায় না থেকে এসব মানুষ নিজ দায়িত্বে নিয়োগ দপ্তরে পৌঁছান।”
তিনি আরও বলেন, “লোক নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নের উত্তর দিতে সামরিক বাহিনী কল সেন্টার চালু করেছে।”
পুতিনের ঘোষণার পর থেকে রাশিয়ার হাজারো নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সামরিক বাহিনীর ডাকে সাড়া দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
যদিও এসব পোস্ট এএফপি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আংশিক সৈন্য পাঠানোর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দেশটিতে নতুন করে প্রতিবাদ জানানো শুরু হয়েছে।
জেলেনস্কি তার প্রাত্যহিক ভাষণে বলেন, “এই ছয় মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার ৫৫,০০০ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে। আরও চান? না? তাহলে প্রতিবাদ করুন। ফিরে যান। পালিয়ে যান বা ইউক্রেন সৈন্যের কাছে আত্মসমর্পণ করুন।”
জেলেনস্কি আরও বলেন, “আপনারা ইতোমধ্যে ইউক্রেনের নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন করাসহ সব ধরনের অপরাধ করেছেন। কারণ, আপনারা নীরব ছিলেন। কারণ, আপনারা নীরব রয়েছেন।”
তিনি বলেন, “রাশিয়ার মানুষের জন্য পথ বেছে নেওয়ার আপনাদের এখনি সময়। এক্ষেত্রে আপনাদের বাঁচা বা মরার পথ বেছে নিতে হবে। আপনাদের শারীরিকভাবে ভাল থাকার বা পঙ্গু হওয়ার পথ বেছে নিতে হবে।”
জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ার নারীদেরকে তাদের স্বামী, সন্তান ও নাতিদের বাঁচানোর পথ বেছে নিতে হবে বা তাদেরকে মৃত্যু, যুদ্ধ ও এক ব্যক্তির (পুতিন) হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।” (সূত্র: এএফপি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.