মোড়েলগঞ্জে শিক্ষিকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসি : অপসারন দাবি  


মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ১০৯নং উত্তর সুতালড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা রহিমা আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানাবিধ অভিযোগ তুলে বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বিদ্যালয়ের খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ। এলাকাবাসি ওই শিক্ষিকার অপসারনের দাবি তুলেছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানাগেছে, সহকারি শিক্ষিকা রহিমা আক্তার ২০১৬ সালের বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই স্কুলের পার্শ্ববর্তী বাড়ি হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবে কারো তোয়াক্কা করে না।

তার ইচ্ছা অনুযায়ী অনিয়মিত আসা যাওয়া করে। হাজিরা খাতায় নৈমেত্তিক ছুটি কার্যকর না হওয়া সত্তে¡ও বিদ্যালয়ে না গিয়েও পরবর্তীতে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করেন তিনি।

অভিভাবকদের সাথে অসাদাচারন জমিদাতাকে লাঞ্চিতসহ কোমলমতি শিশুদের ক্লাশে পাঠদানে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার। প্রধান শিক্ষকের সাথে উগ্রো আচারন, হুমকিসহ নানাবিধ অনিয়ম করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ৮ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জমিদাতা জাহাঙ্গীর ফরাজি(৬৫)কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের সামনে ওই সহকারি শিক্ষিকা রহিমা আক্তার তাকে লাঞ্চিত করে।

এ ঘটনার পরপরই এলাকাবাসি ফুঁসে উঠে। তাৎক্ষনিক ম্যানেজিং কমিটি সভায় রেজিলেশনের মাধ্যমে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস খানম রেজুলেশনের আলোকে তাৎক্ষনিক ওই শিক্ষিকাকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।

এদিকে কথা হয় বিদ্যালয়ের অভিভাবক হাকিম শিকদার, আব্দুল রাজ্জাক ফরাজি, সবুজ হাওলাদারসহ একাধিক অভিভাবকদের সাথে তারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয়ে  তাদের নাতি, বোন ভাই শিক্ষার্থী রয়েছে। স্থানীয় দলাদলি ও শিক্ষিকার অসাদচারনে লেখা পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অনতি বিলম্বে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারন না করা হয়। তাহলে তারা বিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে পাঠাবেন।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সহকারি শিক্ষিকা রহিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি নোটিশ গ্রহন করেননি। এমনকি নোটিশ করার কারনে আমাকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। এ সব ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

সহকারি শিক্ষিকা রহিমা আক্তার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, জমিদাতা জাহাঙ্গীর ফরাজির সাথে পারিবারিক তাদের দন্দ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলক এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।

এ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার সহকারি শিক্ষা অফিসার সজল মহলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে দুই সদস্য তদন্ত টিম তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এ বিষষে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত টিম তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হবে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ গনেশ পাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.