মেলেনী রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ৪৯ বছর পর মুজিব শতবর্ষে সংবর্ধনা পেলেন লালপুরের দুই বীরাঙ্গনা


লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মুজিব শতবর্ষে সংবর্ধনা পেলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার দুই বীরাঙ্গনা নারী। এদের একজন উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার গুচ্ছগ্রামের সোহগী (৬৭) ও অপরজন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম (৬০)। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে তাদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা স্থানীয় সকলের জানা।

ব্যক্তিগত ভাবে দু-একজন সহনুভুতি জানালেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বীরাঙ্গনা  হিসেবে কোন স্বীকৃতি নেই তাদের। বর্তমানে বীরঙ্গনা সোহাগী মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ভিক্ষে করে এবং রোকেয়া বেগম ইটভাটায় কাজ করে জীবন চালায়।

আজ মঙ্গলবার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাটোর-১ (লালপর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বীরঙ্গনা সোহগী (৬৭) ও রোকেয়া বেগমকে (৬০) সংর্বধনা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়র হোসেন মনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, বীরঙ্গনা সোহাগী সে সময় গৃহবধু ছিলেন। পাকহানদার বাহিনী বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রেখে নিয়ে নির্যাতন চালায়। ঘটনার পর থেকে তিনি মানষিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেন। এখনো তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি ভিক্ষা করে জীবন ধারন করছেন।

অপর দিকে পাকহানদার বাহিনীর ক্যাম্পে নির্যাতিত যুবতি রোকেয়া বেগমের দেশ স্বাধীনের পর বিয়ে হলেও ঘটনা জানতে পেরে স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেন।

বীরঙ্গনা সোহাগী ও রোকেয়া বেগমের বীরঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আহবান জানান বক্তারা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি নেওয়াজ মাহমুদ নাহিদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.