মৃত্যুর পাঁচদিন পর জানা গেল তাহিরপুরের সেই ব্যবসায়ীর ছেলে ও প্রতিবেশী স্কুল ছাত্রী করোনা আক্রান্ত


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে স্বপন তালুকদার (৫২) নামে এক থান কাপড় (দর্জি) ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গে মৃত্যুর পাঁচ দিন পর জানা গেল প্রয়াতের এক ছেলে ও প্রতিবেশী অপর এক কিশোরী স্কুলছাত্রী সহ দুইজন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. ইকবাল হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে এ তথ্য জানিয়ে বললেন, গত ৩ জুন করোনা উপসগ্র নিয়ে স্বপন বাবু মারা গেলেও তার নমুনা আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন,পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী,দুই ছেলে ও প্রতিবেশী হোমিও প্যাথিক এক চিকিৎসকসহ সাত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত ৬ জুন সিলেট এমএজিও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে নমুনা পাঠালে পরদিন ৭ জুন রাতে আমাদেরকে জানানো হয়, নিহত স্বপন বাবুর ১৯ বছর বয়সী এক যুবক ছেলে ও প্রতিবেশী হোমিও প্যাথিক চিকিৎসকের ১৪ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা স্কুল ছাত্রী এ দুজন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।,

আজ মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) বিজেন ব্যানাজী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, করোনা আক্রান্তদের নিজ নিজ বাড়িতে আপাতত আইসোলেশানে রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে পরবর্তীতে আক্রান্তদের জেলা সদর হাসপাতাল আইসোলেশান সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার বাদাঘাট গ্রামে থাকা আক্রান্তদের দুটি বসতবাড়ি সোমবার রাতেই লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে।

উল্ল্যেখ যে, উপজেলার বাদাঘাট বাজারের এসএ ক্লথ ষ্টোর (থান কাপড়)’র ব্যবসায়ী স্বপন তালুকদার টানা এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে স্বর্দি জ্বর, কফ্ উচ্চ রক্তচাঁপ, শাসকষ্ট ও ডায়াবেটিকসে শয্যাশায়ী থেকে বাদাঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে গত ৩জুন রাতে করোনা উপসগ্র নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তাহিরপুর উপজেলার পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর পিরোজপুরের পৈতৃক গ্রামে তার মরদেহ পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ে গেলে সৎকারে পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসীদের কেউ এগিয়ে আসেননি। ওই দিন দুপুরে কারো সহযোগীতা না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে ওই গ্রামের শ্মশান ঘাটে তাহিরপুরের বাদাঘাটের হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক ডা. গোবিন্দ তালুকদারের দুই ছেলে গণেশ তালুকদার ও অপু তালুকদার নিহত স্বপন তালুকদারের মরদেহ দাফন করে ফিরে আসেন।, #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.