মিয়াঁদাদের সেই বিখ্যাত ছক্কার কথা মনে পড়ছে: নাসিমকে নিয়ে বাবর

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্য ১৩০ রান। ১৮.৫ ওভারে ১১৮ রানেই পাকিস্তানের ৯ উইকেট পড়ে গেছে। আফগানিস্তান সমর্থকদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস। আর একটি উইকেট ফেললেই এশিয়া কাপে ফাইনালে ওঠার আশা বেঁচে থাকবে।
এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন তরুণ নাসিম শাহ। শেষ ওভারে বল করতে আসা আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন এই লোয়ার অর্ডার। উল্লাসে ফেটে পড়লো পাকিস্তান শিবির।
ম্যাচ জিতিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লেন নাসিম শাহও। ব্যাট ফেলে পাগলের মতো দৌড়তে থাকেন। তখন পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে যেন ফিরে এসেছিল শারজায় শেষ বলে জাভেদ মিয়াঁদাদের বিখ্যাত ছক্কার আমেজ।
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর আজম বলেন, ‘সাজঘরে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। ভালো জুটি তৈরি করতে পারিনি আমরা। শেষ কয়েকটা ম্যাচেও এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু নাসিম যেভাবে ম্যাচ শেষ করলো, এক কথায় দুর্দান্ত। ওর ছয় দেখে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই বিখ্যাত ছক্কার কথা মনে পড়ছে।’
এই কথা শুনে সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা রবি শাস্ত্রী মজা করে বলেন, ‘সেদিন আমিও ছিলাম, মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!’
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেল-এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২৪৫ রান করেছিল। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামে।
তবে সেই ধসের মুখে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান প্রয়োজন ছিল। চেতন শর্মার শেষ বলে লম্বা ছয় হাঁকান মিয়াঁদাদ। ১ উইকেটে এশিয়া কাপ জেতে পাকিস্তান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.