মিয়ানমারে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক মর্টার শেল, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক

কক্সবাজার প্রতিনিধি: ১৩ রমজানের তারাবির নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা যখন বাড়ি গিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখন সীমানার ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর টেকনাফের হ্নীলা ও  খারাংখালী সীমান্ত হতে একের পর এক ভেসে আসতে থাকে মর্টার শেলের বিকট শব্দ। যাতে প্রকম্পিত হচ্ছে ১০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা। সোমবার সকালে এ রিপোর্ট লেখার সময় শেলের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। আতঙ্কে দিন- রাত অতিবাহিত করছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা।
তবে মিয়ানমার থেকে কোনো ছোড়া মর্টার শেল বা তার অংশ পড়েনি ওই সব এলাকায়। বিস্ফোরণের পর সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যদের সতর্কতার পাশাপাশি মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে সীমান্তের কোনো পয়েন্ট দিয়ে যেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বদা প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। 
সোমবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বলি বাজার এলাকায় রাত থেকে যে মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে আমার বাড়িঘরও কাঁপছে। খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ওই সংঘর্ষ নাকি বলিবাজার ও নাগকুরা এলাকায় অবস্থিত বিজিপি ও সেদেশের সেনাবাহিনীর সেক্টর সদর দপ্তর রয়েছে। সেখানে হামলা করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। যাতে নিক্ষেপ করা মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপেছ টেকনাফের হ্নীলা ও খারাংখালী অঞ্চল।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসতে থাকে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা যেন আতস্কিত না হয় সে জন্য সর্বদা খবরাখবর রাখছি।
টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহাম্মদ বিটিসি নিউজকে জানান, খারাংখালী সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২৭ কিলোমিটার ভেতরে শেল বিস্ফোরিত হচ্ছে। এতে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। এলাকায় আমাদের টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.