মিয়ানমারে আসিয়ানের গাড়িবহরে হামলা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে পশ্চিমাঞ্চলে একটি শহরে আসিয়ানের ত্রাণ সহায়তার গাড়িবহরে কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়ির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জোটটির সদস্যরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। সেই সঙ্গে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশ দুটি। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই মিয়ানমারের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা নেয় জান্তাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে দেখা দেয় চরম অস্থিতিশীলতা। শুরু হয় জান্তা বিরোধীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, তাদের দমনে সেনাদের পীড়নে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। সহিংসতার জেরে অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় পড়ে নেপিদো।
এ অবস্থায় দেশটিতে সহিংসতা বন্ধ করতে ও শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ান। বিবদমান সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা নিয়ে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই জোট।
এবার সেই জোটেরই ত্রাণ বহনকারী গাড়িতেই ঘটেছে হামলার ঘটনা। রোববার (৭ মে) মিয়ানমারে পশ্চিমাঞ্চলীয় শান রাজ্যের সি হেসেং শহরে আসিয়ানের কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই কর্মকর্তারা মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা দেয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। সেই সঙ্গে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশ দুটি।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আসিয়ানের ওই বহরে ইয়াঙ্গুনে সিঙ্গাপুর দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা ছিলেন। দুজনই অক্ষত রয়েছেন এবং নিরাপদে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে শান্তি ফেরানোর সহজ কৌশল হলো, বিবদমান সব পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা এগিয়ে নেয়া। তা না হলে দেশটির জনগণের স্বার্থরক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
কর্মকর্তাদের গাড়ি বহরে হামলার পেছনে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জান্তা বাহিনী দায়ী নয় বলে দাবি করেছে তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.