মানুষের মাঝে এখন মানুষেরই ভয়

মো: জুনাইদ চৌধুরী: সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই সচেতন হয়ে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণকেই করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হিসেবে বলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, জ্বর এবং কাশি। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তাছাড়া আক্রান্ত কারে সংস্পর্শে গেলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।

এর থেকে বাঁচার জন্য যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। অন্য কারো থেকে তিন ফুট বা এক মিটার দূরত্বে থাকতে হবে। তাছাড়া বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কিন্তু এই করোনাভাইরাস কারণে মানুষের মাঝে মানুষের ভয় বিরাজ করছে। একে অন্যের পাশে আসতেও সাহস পায় না। তেমনি গতকাল একটা সংবাদ দেখে চোখ কপালের উপরে উঠে গেছে। কতোই না মর্মান্তিক একটি সংবাদ। যেখানে লাশ কাঁদে নিয়ে স্বজনরা যাচ্ছে কবরে মাঠি দিতে। অথচ মসজিদের কাটিয়াটুকুও জোটে নিয়ে সেই মৃত ব্যক্তির কপালে।
তাহলে আমরা কি বর্বরতা কে হার মানিয়েছি। যেখানে মানুষের মৃত্যু হলে কেউ পাশে আসতে চায় না। শেষবারের মতো অাসে না কেউ লাশটি দেখতে। আসে না মানুষ মাটি দিতেও। তাহলে সত্যিই তো অামরা খুবই অসহায়।
তারপরও কেনে আমরা চালচুরি,লুটপাট, দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। তাহলে কি তাদের জন্য এই মহামারি আসে নাই। এখনও কি ওদোর মরণের ভয় হয় না। এখনও কি ওরা আখেরাতের কথা চিন্তা করে না। না কি ওরা মরবে না?? প্রশ্ন থেকেই গেল।
পরিশেষে বলতে চাই সবাই কে এই মহামারি থেকে আল্লাহ্ হেফাজত দান করুক। আমিন।
লেখক মো: জুনাইদ চৌধুরী, সংবাদকর্মী ও ছাত্র সংগঠক, বিএসসি অর্নাস, এমএসসি(মাস্টার্স) উদ্ভিদ বিজ্ঞান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.