মানব সেবার দিকপাল কাঁকনহাট পৌর মেয়র আব্দুল মজিদ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত এবং পৌরসভাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত করায় কাঁকনহাট পৌরবাসীর নিকট তিনি নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন।

২০০২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তিনি পৌরবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন। তাঁর কার্যক্রমে সন্তোষ্ট্ হয়ে জনগণ বার বার তাঁকে নির্বাচিত করছেন। তিনি বর্তমানে পৌরবাসীর আশা আকাংখার প্রতিক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

শুধু পৌরবাসী নয় যে কোন ব্যক্তি তাঁর নিকট যেয়ে সহযোগিতা চাইলে কেউ নিরাস হয়ে আসেনা। তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজশাহী শহরে বসবাস করলেও অদ্যবধি তার নেই নিজস্ব কোন বাড়ি। থাকেন ভাড়া বাড়িতে। এ রকম নেতাই আসলে প্রয়োজন।

কথাগুলো বলছিলেন কাঁকনহাট পৌর এলাকার একাধিক নারী পুরুষ। তারা বলেন, মেয়রের এই ধরনের সহযোগিতা ও মানব সেবার কারনে দলমত নির্বিশেষে তিনি প্রতিবার বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

তারা আরো বলেন, শুধু সহযোগিতা নয় কাঁকনহাট পৌর এলাকার সকল শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, গভীর নলকুপের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ, নতুন রাস্তা পাকাকরণ এবং পুরাতন রাস্তার সংস্কার, মাস্টার ড্রেন তৈরী, পুরো পৌরসভাকে আলোকিতকরণ এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তাঁর ব্যাপক সহযোগিতা। সব ধরনের খেলাধুলাতেই তিনি পৃষ্ঠোপোষকতা করে থাকেন। তাঁর কঠোর নজরদারীর কারনে পৌর এলাকায় নেই কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মাদকের মহামারী। সেইসাথে নেই কোন দলীয় কোন্দল। সব মিলিয়ে নিরিবিলিভাবে বসবাস করে কাঁকনহাট পৌরবাসী।

তারা বলেন, সারা বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশর ন্যায় বাংলাদেশের প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এই ভাইরাসের কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার পুরোদেশকে লকডাউন ঘোষনা করেছিলেন। এরফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই কর্মহীন মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি তিনিও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে মেয়র মজিদ বলেন, কোন মানুষ যেন না খেয়ে না থাকে তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ড তিনি ঘুড়ে দেখেন এবং নেতাকর্মী ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরী করে খাদ্য সামগ্রী, ঈদ উপহার, শিশু খাদ্য এবং মৌসুমী ফল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। আজ সোমবার সকালেও তিনি জি আর এর মাধ্যমে মোট ৩৯০ জনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এরমধ্যে ৩৫০ জনের মধ্যে চাল, সবজি ও লিচু ও ৪০ জনের মধ্যে শিশু খাদ্য হিসেবে প্যাকেট দুধ প্রদান করেন।

এপর্যন্ত তিনি সরকারীভাবে ২৯০৯ জন এবং নিজ উদ্যোগে ১৫০০ জনের মধ্যে মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও রোজার শুরুতে ৬ হার্জা পরিবারের মধ্যে খেজুর ও ঈদের পূর্বে সামাই চিনি প্রদান করেন। এই অবস্থা চলাকালিন পর্যন্ত তাঁর এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

মেয়র আরো বলেন, পৌরসভার প্রতিটি মানুষ তাঁর নিকট সমান। সবাইকে নিয়ে তিনি পৌরসভার উন্নয়ন এবং ভাল থাকতে চান। সেইসাথে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার জন্য প্রতিটি মানুষকে অনুরোধ করেন।

প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে আসলে মাস্ক বাধ্যতামূলক ব্যবহার, বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান মেয়র।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল করিম (বাবলু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.