মাদারীপুরে টাকার জন্য ছেলে ও বউ মিলে মাকে কোপানোর অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর ডাসার উপজেলায় টাকার জন্য নিজ ছেলে রাসেল হাওলাদার (৩২) ও তার স্ত্রী পলি বেগম (২৬) কর্তৃক মা আনোয়ারা বেগমকে (৫০) কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মা আনোয়ারা বেগম নিজেই বাদী হয়ে ডাসার থানায় বুধবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে রাসেল ও তার স্ত্রী পলি ছাড়াও আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মা আনোয়ারা বেগমের ভাষ্য ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মৃত্যুর আগে তার বাবা ১০ লাখ টাকা মায়ের কাছে রেখে গেছে দাবী করে রাসেল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোনো টাকা পয়সা রেখে যায়নি- মা বারবার এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করলেও রাসেল ও তার স্ত্রী মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় মেঝো ছেলে নাসির হাওলাদার বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে নাসির স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মা আনোয়ারা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার ছেলে রাসেল ও তার বউ পলি আমাকে এর আগে কয়েকবার মারধর করেছে। অথচ তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে টাকা রেখে যাওয়া দূরের কথা বরং অনেক টাকা ঋণ হয়েছিলো। একথা আমি ছেলেকে শতবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার কথা না শুনে টাকার জন্য দা দিয়ে কোপ মেরে আমার মাথা ফাটিয়েছে। তার স্ত্রীসহ কয়েকজনে মিলে আমার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি লাথি ও চড়-থাপ্পড় মেরেছে। ছেলে নাসিরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে। আমি আমার ছেলের এবং তার সহযোগীদের বিচার চাই।
ছেলে নাসির হাওলাদার বিটিসি নিউজকে বলেন, সামান্য টাকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা মাকে কুপিয়েছে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যে মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করে কতো কষ্ট করেছে, এই মাকে এভাবে মেরেছে- আমি আমার ভাই এবং তার স্ত্রী ও সহযোগিদের বিচারের দাবি জানাই।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ছেলে তার মায়ের সাথে কেমন করে এরকম করতে পারে? অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মাদারীপুর প্রতিনিধি মো. এস আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.