মরদেহ’র আশায় শীতলক্ষ্যাপাড়ে ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: জীবিত পাওয়ার আর আশা নেই। এখন শুধু মরদেহটি চান স্বজনরা। মরদেহের আশায় শীতলক্ষ্যাপাড়ে ছোটাছুটি করছেন তারা। কিন্তু কোথাও কোনো মরদেহের দেখা মিলছে না।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি আজ সোমবার (২১ মার্চ) ভোর ৫টায় উদ্ধার হলেও ভেতরে কোনো মরদেহ পাননি স্বজনরা।
এদিকে এ লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন, খায়রুন ফাতেমা, মুসলেহ উদ্দিন হাতেম, আব্দুল্লাহ আল জাবের, জোবায়ের ও আরোহী।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল জাবেরের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি আমার ছেলের মরদেহটি ফেরত চাই। জীবিত তো আর পাবো না। কর্তৃপক্ষের কাছের দাবি জানাই যেন উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা না হয়।
নিখোঁজ ফাতেমার চাচা আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চটি উদ্ধার করা হলো কিন্তু আমার ভাতিজিকে পেলাম না।
নিখোঁজ হাতেমের ছেলে সাগর বলেন, আমি আমার বাবার মরদেহ হলেও ফেরত চাই।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক তানহারুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
এর আগে গতকাল রবিবার দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী আফসার উদ্দিন নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। এই লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিটিসি নিউজকে জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম ভি আফসার উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ যাওয়ার সময় এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো ধাক্কা দেয়। কার্গোটি ওই লঞ্চকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে ওই লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ আটক করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় দুর্ঘটনার পরই কার্গোটি মুন্সিগঞ্জের হোসেন দি ডকইয়ার্ডে নোঙ্গর করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে কার্গোটি আটক করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আফজাল হোসেন আফজাল  #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.