ভ্রম্যমাণ আদালত : দিনাজপুরে ২টি অটোরাইস মিলে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে আবারও ৩৪০ টন ধান ও ১৭৮০ টন চালের অবৈধ মজুদ পেয়েছে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ। এসব খাদ্যশস্য মজুদ করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে ২টি চাল কলের মালিককে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রম্যমাণ আদালত।

 

আজ রবিবার (০৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর এলাকার বয়রা অটোরাইস মিল ও হানুফা অটোরাইস মিলে এ অভিযান চালানো হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ এ অভিযান চালায়। একই সাথে ওই মজুদকৃত ধান আগামী ৭ দিনের মধ্যে এবং চাল ১০ দিনের মধ্যেই বাজারজাত করার জন্য বলা হয়েছে।

বিভিন্ন মিলের গোডাউনে যে পরিমাণে চাল মজুদ রয়েছে তা বাজারজাত করা হলে চালের বাজার স্বাভাবিক হবে। তাই বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট।

সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, দেশের বিভিন্ন জেলার মিলগুলোতে অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুদ রয়েছে- খাদ্যমন্ত্রী এমন কথা বলার পরেই গত ১ অক্টোবর থেকে দিনাজপুরের মিলগুলোতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ।

খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ ধান ও চাল মজুদ রয়েছে, সেসব বাজারজাত করা হলে চালের বাজার নিচে নেমে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, বয়রা অটোরাইস মিলে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১ হাজার ৭০০ টন ধান মজুদ পাওয়া যায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে একই এলাকার হনুফা অটো রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে আতব ও কাটারী মিলে ২ হাজারেরও অধিক টন চাল মজুদ পাওয়া যায়। এ সময় মিলটিকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে মিলের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুজ্জামানকে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সত্ত্বাধিকারীকে না পাওয়ায় এবং জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ম্যানেজার সুজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টাকা পরিশোধ করে ম্যানেজারকে ছাড়িয়ে নেয়া হবে।

দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আশ্রাফুজ্জামান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জেলায় খাদ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য বিভিন্ন চালকল মিলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছু অসাধু মিল মালিক ব্যবসায়ী আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ রেখে চালের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে। তাই অভিযান অব্যাহত রাখলে সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্য রাখা সম্ভব।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দিনাজপুর প্রতিনিধি মোঃ ইয়ামিন সরকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.