ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে দুলুর পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটবে

 

নাটোর প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় নাটোরেই চলছে জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া। চলছে রাজনৈতিক কার্যালয় ছাপিয়ে পাড়া মহল্লায় ভোটের হিসেব নিকেশ। আগাম কৌশলী প্রচারণায় নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিপরীতে কারা হতে চলেছেন বিএনপির প্রার্থী, তা চলছে নানা জল্পনা কল্পনা । বিএনপির তৃণমূল ও জেলার কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, নাটোর জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ২টি তে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসন দুটি হলো নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-২ এবং বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৪। এর মধ্যে নাটোর-২ আসনে দুলু বিএনপির নিশ্চিত প্রার্থী। অঘোষিতভাবে নাটোর-২ আসন থেকেই নির্ধারিত হয় বড় দুটি দলের জেলার রাজনীতি। মূলত এ কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে আসনটি ধরে রাখা প্রেস্টিজ ইস্যু।তবে গৃহবিবাদে জর্জরিত আওয়ামী লীগের পক্ষে বিএনপির শক্ত প্রার্থী দুলুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোটেই স্বস্তিদায়ক হবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

নাটোর থেকে তারেক রহমানকে দিয়ে গ্রামমার্চ শুরু করে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিএনপির একক প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আমিও তিনবার এমপি এবং টানা পাঁচ বছর মন্ত্রী ছিলাম, বর্তমানে যা যা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে কেউ এমন কোন অভিযোগ করতে পারবে না। আমি এক সদর উপজেলাতেই এক সাথে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করেছিলাম, সবাই জানে কারো তথন একটাকাও খরচ হয়নি অথচ এখন পিয়ন থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রতি ক্ষেত্রেই নাকি সংসদ সদস্যদের লাখ লাখ টাকা দিতে হয় এর চাইতে লজ্জার আর কি আছে ? তিনি বলেন, আমি নাটোরের গ্রামগঞ্জে শত শত কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট করেছি, অবহেলিত হালতি বিলে কংক্রিটের রাস্তা করেছি, কাারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, নাটোরে শিশু পার্ক করেছি, দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের বিপদে পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছি, ফলে নাটোরের জনগন আমার পাশে আছে। তাই ভীত হয়ে সরকার আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। দুলু বলেন, তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে প্রার্থী যেই হোক, জেলার সব আসনেই বিএনপি মনোনিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক শীর্ষনেতা বলেন, নাটোর-৪ আসনে এই মুহূর্তে নতুন নেতৃত্ব দ্বারা বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখানে দুলুকেই হাল ধরতে হবে। এতেই বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।নাটোরে বিএনপির রাজনীতিতে দুলুর প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছে তৃণমূল। এবারও আসন দুটির ভোটের রাজনীতিতেও দুলুর উপরই ভরসা করছে তৃণমূল। দুলুকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে নাটোরে বিএনপির রাজনীতি।অনুসারীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে দুলুর। মামলার প্রতিকূলতার মুখেও নাটোরে বিএনপির নেতৃত্ব আকড়ে ধরে রেখেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, নাটোরের বর্তমান অবস্থা স¤পর্কে সকলেই অবগত। বিএনপির ছোটখাটো কর্মসূচি গুলোতেও সরকারী দলের লোকজন প্রত্যক্ষভাবে ও প্রশাসন দ্বারা যেভাবে বাধাগ্রস্তকরে, তাতে সহজেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনুমান করা যায়। এ কারণেই মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষের দোড়গোড়া পর্যন্ত যেতে পারলে আগামীতে বিএনপি প্রার্থীদের বিজয়ী করবে।

জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন , গত সাড়ে চার বছর নাটোরে দুল কে আসতে দেয়া হয়নি । দুলু নাটোর আসলেই পুলিশ দিয়ে বাঁধা দেয়া হয়েছে । হুয়রানি করা হয়েছে । একটি ঈদ ও তাকে নাটোরে করতে দেয়া হয়নি । একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হুয়রানি করা হয়েছে । ফলে , সাধারণ মানুষের মধ্যে দুলুর প্রতি যে সহানুভূতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দুলু’র পক্ষে নাটোর সদরে ভোট বিপ্লব হবে । তাছাড়া বর্তমান সরকারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, বাক্স¡াধীনতা হরণ, এসব কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে বিএনপির জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। এই জেলার মানুষ বর্তমানে বিএনপির দিকেই ঝুঁকছে।

নাটোর জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন , সারা দেশের ন্যায় নাটোরে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে নাটোরে আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে । নাটোর কারাগারে তিল ধরনের ঠাঁই নেই । হামলা ,মামলা ,হুলিয়া নিয়ে আমাদের শত শত নেতাকর্মী ঘর ছাড়া । পুলিশ-ডিবির হাতে গণগ্রেফতারের আতংক। সাথে রয়েছে এলাকায় এলাকায় শাসক দলীয় প্রার্থীর কর্মীদের চোখ রাঙ্গানি, দেখে নেয়ার হুমকি আর নানা রকম ভীতি। সব কিছুকে মাথায় রেখেই কর্মীদের সতর্ক পদচারণা।

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাধার মুখেও আমরা নানাভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।তারপরও দুলুর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী । লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে নাটোরের জনগণ কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না । দুলুর পক্ষে ভোট বিপ্লব সৃষ্টি হবে । আজ পর্যন্ত দুলু কোন ভোটে হারেনি । একাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে আসনটিতে অবশ্যই দুলু বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি মোঃ নাসিম উদ্দীন নাসিম।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.