ভেজাল মাছের খাদ্যে বাজার সয়লাব আদমদীঘিতে মেয়াদ উত্তীর্ন ও পচা ১২টন মাছের খাদ্য জব্দ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘি উপজেলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ, পচা দুর্গন্ধযুক্ত ও ভেজাল মাছের খাদ্য হিসাবে ফিসফিডে বাজার সয়লাব হয়েছে। এসব ভেজাল ও দুর্গন্ধযুক্ত ফিসফিড নামক এসব মাছের খাদ্য পুকুরে প্রয়োগ করেও কোন কাজ হয়না। এতে মৎস্য ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদমদীঘির তেতুলিয়া রাস্তার পার্শ্বের মেসার্স মাসুদ রানা মৎস্য খাদ্য ভান্ডার নামের একটি গোপন ফিসফিড গুদামে তল্লাশি করে ১২ মেট্রিক টন এই ক্ষতিকারক মাছের খাদ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, নসরতপুর, মুরইলসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো মাছের খাদ্যের ফিসফিড দোকান গড়ে উঠেছে। অনেক দোকানের বৈধ কোন কাগজ নেই।

তারপরও দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে নানা ব্যান্ডের আকর্ষনীীয় মোড়কে মাছ মোটা তাজাকরণ, মাছ বড় করন করার ফিসফিড বা মাছের খাদ্য। বাজারে তেমন দেগভাল না থাকায় ক্রমেই বৃদ্ধিপায় এসব মাছের খাদ্য বিক্রির দোকান।

এক শ্রেনীর মাছের খাদ্য বিক্রেতা অধিক লাভের আশায় গোপন গুদাম নিয়ে সেখানে ব্যান্ডের কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ মাছের খাদ্যের সাথে বিভিন্ন পচা সামগ্রী মিশিয়ে বিক্রি করছে।

এসব মাছের খাদ্য কিনে মাছচাষ পুকুরে প্রয়োগ করেও কাজ হয়না বরং মাছের ক্ষতিসাধন হয়ে থকে বলে মৎস্য চাষী সাওইল বাসুদেবপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন, মুরইলের আনোয়ার হোসেনসহ অনেকের অভিযোগ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উপজেলার তেতুলিয়ার গ্রামের রাস্তায় মাসুদ রানা মৎস্য খাদ্য ভান্ডারের একটি চাতালে গোপন গুদামে অভিযান চালিয়ে পচা দুগর্ন্ধযুক্ত, বিক্রি নিষিদ্ধ ও মাছের খাবার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিক্রির উদ্যেশ্যে গুদামজাত করা প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৫০ বস্তায় রাখা ১২ মেট্রিক টন ভেজাল মানহীন দুর্গন্ধযুক্ত মাছের খাদ্য জব্দ করে ধ্বংস করলেও গুদামজাত করা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.