দলের টপ স্কোরার মোহামেদ সালাহকে বেঞ্চে রেখে শুরুর একাদশ সাজান লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। আক্রমণের দায়িত্ব পড়ে সাদিও মানে, দিয়েগো জোতা ও লুইস দিয়াসের কাঁধে। কিন্তু তারা নিজেদের মেলে ধরার আগেই লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিয়ে গোল আদায় করে নেয় অ্যাস্টন ভিলা।
পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা অবশ্য দ্রুতই সামলে নেয় লিভারপুল। তিন মিনিট পর আর্নল্ডের ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি অ্যাস্টন ভিলার টাইরন মিঙ্গস। সেই বল চলে যায় ভার্জিল ফন ডাইকের পায়ে। ডাচ এই ডিফেন্ডার পাস বাড়ান ডি-বক্সে। নিখুঁত টোকায় গোল করেন মাতিপ।
আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের এই উত্তাপ অবশ্য টিকেনি বেশিক্ষণ। সমতায় ফেরার পর থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য করতে থাকে লিভারপুল। তবে প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। আর ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লং পাস ধরে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান দিয়াস, ফ্লিক হেডে জাল খুঁজে নেন সাদিও মানে। এই মৌসুমে এটি মানের ২২তম গোল।
শেষ দিকে ড্যানি ইঙ্গস জোরালো শটে লিভারপুলের জালে বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড আগে থেকেই অফসাইডে থাকায় হয়নি গোল। শেষ পর্যন্ত ওই ২-১ গোলে হার নিয়েই ঘরের মাঠ ছাড়তে হয় ভিলাকে।
৩৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থান আছে অ্যাস্টন ভিলা। আর ৩৬ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিটি। তবে তারা এক ম্যাচ কম খেলেছে এবং লিভারপুল থেকে তাদের গোল ব্যবধানও বেশি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.