ভারী বর্ষণের প্রভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চল গুলোতে আগাম বন্যা ও জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে তিস্তার পারের মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেল ৫টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটর।
ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নায়ন বোর্ড। জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকা গুলোতে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী ৭ নং ওয়ার্ডে ৩ শত পরিবার পানি বন্দী খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান ঘটনা স্থালে গিয়ে একটি কালভার্টের মুখ কেটে দিলে ৩ শতটি পরিবারের জলাবন্ধতা নিয়ন্ত্রন করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের লোক জন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের ছয়আনী গ্রামের আমিনুর মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গড্ডিমারীর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পরেন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, অতি বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.