ভারত থেকে জ্বর নিয়ে দেশে পর্যটক, আখাউড়ায় সতর্কতা

ব্রাহ্মণবাডিয়া প্রতিনিধি: ভারত থেকে জ্বর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সোহেদ মিয়া (৪২) নামে এক বাংলাদেশী।
তিনি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তবে ভারত থেকে আগত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না সেই ‘সন্দেহ’ থাকায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
জানা গেছে, সোহেদ মিয়া পরিবারের পাঁচজনকে নিয়ে সম্প্রতি ভারতের আজমির শরীফে গিয়েছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রবেশের পর নোনসল্যান্ডে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন ইমিগ্রেশনে অস্থায়ী হেলথ ডেস্কর স্বাস্থ্যকর্মীরা। গায়ের তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাকে মাস্ক পরিয়ে দেয় হেলথ ডেস্কের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনে না গিয়ে ওনাকে একটি আলাদা গাড়িতে করে বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জের জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোনো সন্দেহ আমরা করছি না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু চীন থেকে আসা কোনো ব্যক্তি জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশিতে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালের ‘আইসোলেশন বেড’-এ রাখতে হবে। এর বাইরে এমন কাউকে পাওয়া গেলে তিনি বাড়িতেই থাকবেন। তবে তার ব্যাপারে নিয়মিত তদারকি করা হবে।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আবদুল হামিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য ইমিগ্রেশনে অস্থায়ী হেলথ ডেস্ক কর্মীরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত চীনের কোনো নাগরিক এ সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেননি। এর পরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
এ দিকে করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও আটটি উপজেলা হাসপাতালে ‘আইসোলেশন বেড’ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে মোট দুইটি করে ১৬টি ও জেলা সদর হাসপাতালে পাঁচটি বেড স্থাপন করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.