‘ভারতে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে’ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন

কলকাতা প্রতিনিধি:বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। ‘জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’-এর ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল, যাতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন মাথাও রয়েছেন, সেই দলের মতে, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে ৷ প্রথম থেকে এই ভয়টাই পাচ্ছিলেন সবাই। কারণ একবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ৷

জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’-এ ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ এপিডেমিওলজিস্টস-এর সদস্যরা রয়েছেন। এই দলটি জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার না করলেও ভারতের বিপুল পরিমাণে আক্রান্তের সংখ্যা এটাই প্রমাণ করছে যে এখানে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ কীভাবে হচ্ছে তার কোন সঠিক কারণ জানা যায় না ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩০ জনের। এর জেরে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩৯৪।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জনের। কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত আরও ৭২ জন। সরকারি হিসেবে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৬৫৫। আর মৃত্যু হয়েছে ২,২৮৬ জনের ৷ তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২,৩৩৩ আর মৃত্যু হয়েছে ১৭৩ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৭৩ জনের। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭৭৯ আর মৃত্যু হয়েছে ১,০৩৮ জনের।
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৩৫ জন। বিশ্বে সংক্রমণের নিরিখে ভারত রয়েছে সপ্তম স্থানে। এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৯১ হাজার ৮১৮। ইতিমধ্যেই করোনায় মৃত্যুতে চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গেই এশিয়ার মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.