ভারতের মহাকাশযানে বিপর্যয়

ছবি Online

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ২৯ মার্চ বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে GSAT 6 A স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এটি ভারতের সবথেকে ক্ষমতাশালী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। সেনাবাহিনীর বিশেষ সুবিধা হওয়ার কথা এই স্যাটেলাইটে। শনিবার দ্বিতীয় অরবিট সাফল্যের সঙ্গেই পার করে এটি। সমস্যা দেখা দিয়েছে তারপরই। আর সব রকমভাবে চেষ্টা করে সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

বিপর্যয়ে পড়েছে ভারতের মহাকাশ অভিযান। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো রোববার সকালে জানিয়েছে, ‘গত ৩১ মার্চ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ৫৩ মিনিটের মধ্যে সফলভাবে দ্বিতীয় কক্ষপথ পার করে স্যাটেলাইটটি। ১ এপ্রিল তৃতীয় ও শেষ কক্ষপথ পার করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। লিংক ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলছে।’

এই স্যাটেলাইটের জন্য কাজ করেছেন প্রায় ৪০০ জন বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার ৷ রকেটের ক্রাইয়োজনিক ইঞ্জিন ৬ বার পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এটি বিকাশ ইঞ্জিনের রকেট ও এটি কাজ করে লিকুইট প্রোপেল্যান্টসে৷ রকেটকে বড় কোনো ধাক্কা থেকে এটি রক্ষা করবে৷ ভবিষ্যতে বিকাশ ইঞ্জিন ভারতীয় রকেটগুলোর প্রধান অবলম্বন হতে চলেছে৷ ভারত যখন চন্দ্রায়ন-২ মিশনের জন্য রকেট পাঠাবে তখন এই ইঞ্জিনই সেখানে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছিল৷

স্যাটেলাইট GSAT-6A একটি বিশেষ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট৷ এর ওজন প্রায় ২ হাজার ৬৬ কেজি৷ এটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ২৭০ কোটি রুপি৷ ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কিরণ কুমার জানিয়েছেন, GSAT-6A ইসরোর সবচেয়ে বড় অ্যান্টেনাগুলোর মধ্যে একটি নিয়ে যাবে৷ এর ব্যাস ৬ মিটার৷ একবার কক্ষপথে প্রবেশ করার পর এটি ছাতার মতো খুলে যাবে৷ এর বড় আকারের জন্য ক্ষমতা বেশি৷ সমস্ত সিগন্যাল- তা সে ডেটা, ভিডিও বা ভয়েস, যাই হোক, তা সহজেই পাওয়া যাবে৷

স্যাটেলাইট GSAT-6 ও GSAT-6A  এ দুটি দুদিক থেকেই ডেটা বিনিময় করতে পারবে৷ যেখানে মোবাইল কানেকটিভিটি সেই, তেমন কোনো প্রত্যন্ত জায়গা থেকেও ডেটা বিনিময় সম্ভব হবে৷ এর ফলে সেনাবাহিনী অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে৷ তবে যোগাযোগ যাতে আরো সহজ হয় তার জন্য কাজ করছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.