বড়াল নদীতে ভাসছে শত শত মরা মুরগি

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আড়ানী পৌর বাজারসংলগ্ন বেইলি ব্রিজের নিচে বড়াল নদে ভাসছে শত শত মরা মুরগি। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারসংলগ্ন বেইলি ব্রিজের নিচের বড়াল নদে এমনই দৃশ্যই চোখে পড়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর।
ধারণা করা হচ্ছে গতকাল সোমবার রাতের আঁধারে ফার্মে মরে যাওয়া এই মুরগি গুলো কে বা কাহারা ফেলে দিয়ে গেছে। ফলে চারদিকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এই গন্ধে পথচলা ও স্থানীয় দোকানদাররা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এতে করে ছড়াতে পারে নানান রোগ বালাই।
এ বিষয়ে আড়ানী বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, যেখানে মুরগি ফেলা হয়েছে, সেখান থেকে আমাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিটারের মতো। আমরা বুঝতেও পারিনি, কে কখন ফার্মে মরে যাওয়া ওই মুরগি গুলো এভাবে ফেলে দিয়ে গেছে।
তবে আমরা রাত ৯টা ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে চলে যাই। তার পর গভীর রাতে এমন অমানবিক কাজ করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে এহেন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আড়ানী বাজারের স্থানীয় এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের কাছে এত মুরগি থাকে না। এভাবে আমাদের মুরগি মারাও যায় না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের কাছে থেকেও দুই-একটি মুরগি মারা যায়। আমরা সেটিকে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখি। তবে যে ব্যক্তি এমন কাজটি করেছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হওয়া দরকার।
আড়ানী পৌর বাজারের এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে বড়াল নদে যতটুকু পানি আছে, সেখানে তেমন কোনো মাছ নেই। বড় বড় মাছ থাকলে হয়তো এগুলো খেয়ে নিত। বর্তমানে মরা মুরগিগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গন্ধের কারণে ব্যবসা করতে পারছি না।
বাঘা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এতে পানির বিশুদ্ধতা কমে যায়। পরিবেশ নষ্ট হয়, জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়ে। তবে বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অবগত হলাম  ঘটনাস্থলে অফিসিয়ালভাবে লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে জড়িত দের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.