বেলকুচি-চৌহালীর পত্রিকা বিক্রেতাদের মানবেতর জীবন যাপন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে বেলকুচি-চৌহালীর পত্রিকা বিক্রেতারা বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা (কোভিট-১৯)’র প্রভাবে অঘোষিত লক ডাউন চলছে ফলে পত্রিকা বিক্রি অনেক কমেছে। সকল ধরনের দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমান সংকটে আগের মত পত্রিকা বিক্রি করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পত্রিকার এজেন্ট ও বিক্রেতারা।

গত ২৫ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউন হওয়ায় সরকারী-বেসরকারী, ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানসহ সকল কিছু বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন বেলকুচির-চৌহালীর ১৮ জন পত্রিকা বিক্রেতা।

সূত্রে জানা যায়, তারা পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাতো কিন্তু সব কিছু বন্ধ থাকায় আগের মত ইনকাম নেই। এখন প্রতিদিন গড়ে  ৫০-১০০ টাকা ইনকাম হয় এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো অনেক কষ্টসাধ্য।

তাই এ আপদকালীন সময়ে সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা। আর তা নাহলে তাঁদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে জিবন যাপন করতে হবে।

এ বিষয়ে পত্রিকা বিক্রেতা সুকুমার চন্দ্র রায়সহ অনেকেই জানান, পত্রিকা বিক্রি করা ছাড়া অন্য কোন কাজ জানিনা, তা এখন বন্ধ হয়ার পথে। আগে পত্রিকা বিক্রি করে ৪ থেকে ৫ শত টাকা ইনকাম হতো।

এখন ৫০ থেকে ১০০ টাকা হয়। আমাদের দিন এখন খেয়েও যাচ্ছে না খেয়েও যাচ্ছে। পত্রিকা অফিস ও সরকারের পক্ষথেকে আমরা কিছুই পাইনি। সংবাদপত্রের এজেন্ট দৌলত মন্ডল এই প্রতিবেদককে জানান, সত্যি বলতে কি আমার পত্রিকার হকাররা অনেক কষ্টে আছে।

অনেকে সরকার ঘোষিত ত্রাণ সামগ্রী পেলেও বেলকুচি কোন পত্রিকার হকারকে সহায়তা করা হয়নি। সরকারসহ সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মমনি মন্ডল কর্মীদের মাঝে ত্রান দিলেও আমরা এখন পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী পাইনি। পত্রিকা অফিস থেকেও কিছু আসেনি। আমাদের অবস্থা এখন শোচনীয়।

এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি তিন দিন ধরে দায়িত্ব নিয়েছি। বেলকুচি উপজেলার পত্রিকা বিক্রেতা হকারদের তালিকা করে কিছু সহায়তা দেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.