বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে আজগড়া গ্রামের মৃত আমিন মুন্সির পুত্র মুকুল মুন্সির বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মৃত খাঁজা আব্দুল জলিলের পুত্র খাঁজা শওকতের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এরই জের ধরে গত ১৪ আগস্ট রবিবার রাত্রিতে খাঁজা শওকত তার বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মুকুল মুন্সির বাড়িতে একই এলাকার শওকতের লোকজন অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর এবং বাড়ির মহিলাদের মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, কুজরত মল্লিকের মেয়ে বুলবুলি বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য আদালতে পেনশন করেছেন। পেনশনের বিষয়টি সমাধান হওয়ার পূর্বেই খাজা শওকত তার লোকজন নিয়ে বুলবুলি বেগমের জায়গা দখল করার চেষ্টা ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, কুজরত মল্লিকের পুত্র শহিদুল মল্লিক মতি মল্লিক মজিদা বেগম তিনজনের ওয়ারিশিয়ান অংশের জায়গা ৪পয়েন্ট ২৫ শতাংশ বিক্রি করে দেয় খাঁজা শওকতের নিকট। খাঁজা শওকত উক্ত জায়গাটি ওরিশানদের জায়গা গোপনে ক্রয়করার জন্য এ দন্দের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় আদালতে পেনশন করেন বুলবুলি বেগম। পেনশনের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এরই মাঝে গত ১৪ আগস্ট রবিবার রাত ৮টায় অতর্কিত ভাবে ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে দেশিও অস্ত্র নিয়ে বুলবুলি বেগমের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথারি মারপিট ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা শুরু করে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে শওকতের লোকজন স্থান ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য,শওকত এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না।
এবিষয়ে এনায়েতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ১৪ আগস্ট রাতে আজগড়া বুলবুলি বেগমের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল এবং ১৫ তারিখে আবারও হামলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.