বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচন করবে বিএনপি : আলাল

ঢাকা প্রতিনিধিবিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে বিএনপির চার সদস্যের একটি দল সচিবের কাছে কয়েকটি বিষয় অবহিত করে চিঠি দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিষয়গুলো হচ্ছে:- দুদিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং মহাসচিবের স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহের অবসান।বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপনি কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সর্বশেষ সময় পর্যন্ত আশাবাদী যে, মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। তিনি বলেন, যাদের প্রার্থীতা প্রাথমিক পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকর্তৃক বাতিল বলে ঘোষিত হয়েছে, সেগুলো আপিলের যে কর্মকাণ্ড এখন চলছে। এ কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করা হয়েছে আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি এটা ৮ তারিখ পর্যন্ত না নিয়ে ৬ এবং ৭ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় কি না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলেছি।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বাণিজ্য এখনও চলছে। বাম্পার ফলন যেভাবে হয়, সেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও গ্রেপ্তারের বাম্পার ফলন শুরু করা হয়েছে। গতকালও একজন মহিলা কমিশনারসহ ও কয়েকজন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।একই সঙ্গে গতকাল কোম্পানীগঞ্জে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাহেবের গাড়িতে সশস্ত্রী হামলা করা হয়েছে।

সেটিও অবহিত করেছি এবং এ গ্রেপ্তার বাণিজ্য বন্ধ করারজন্য নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলেছি।আপিল শুনানি যদি তিন দিন হয় তাহলে আপনারা কি রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুঁকিটা আমার মনে হয় সকল রাজনৈতিক দল ও জোটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা ওনাদেরকে বলেছি যে- ৬ ও ৭ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে অথবা ওনাদের নিজস্ব কোনও উদ্ভাবনী চিন্তার মধ্য দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব এটা সম্পন্ন করতে। ৮ তারিখ পর্যন্ত না গেলে ভালো হয়।

আপনারা যেহেতু একেক আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছেন এক্ষেত্রে একক প্রার্থী বাছাইয়ে কোনও সমস্যায় পড়বেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিষ্পত্তি করতে কোনও অসুবিধা হবে না।আমরা বলেছি এ কারণে যে, মহাসচিব বারবার বলার পরেও কোনও একটি জেলার রিটার্নিং অফিসার তার স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা বৈষম্যের শিকার হতে পারি। আশঙ্কাটা আমাদের মধ্যে রয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.