বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কাশ্মীর’র ঐতিহাসিক মুঘল উদ্যান

(বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কাশ্মীর’র ঐতিহাসিক মুঘল উদ্যান–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় কাশ্মীরের ঐতিহাসিক ছয়টি মুঘল উদ্যানকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।

উদ্যানগুলো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে কাশ্মীর উপত্যকায় পর্যটনে আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

কাশ্মীরের ওই ছয়টি মুঘল উদ্যানগুলা হলো: নিশাত, শালিমার, চশমাশাহী, পরী মহল, আচাবল ও ভেরিনাগ। ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উদ্যানগুলোর উন্নয়নে পুনর্নির্মাণ কাজের আদেশ জারি করেছেন।

পরী মহল

জম্মু ও কাশ্মীরের ফ্লোরি কালচার ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ফারুক আহমদ রাথের এএনআইকে বলেন, ‘২০০৫-২০১১ সালের মধ্যে আটটি বাগান পুনর্নির্মাণের জন্য কাজ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ঐতিহাসিক মুঘল উদ্যানের ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এরই প্রেক্ষিতে ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞরা উদ্যানগুলো পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে এই উদ্যানগুলির মধ্যে ছয়টিকে অস্থায়ী তালিকা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে।

তিনি বলেন, ‘বাগানগুলি ঐতিহ্যের অংশ এবং যেকোনো মূল্যে এটি সংরক্ষণ করতে হবে। ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থান তালিকায় স্থান দেওয়ার পরে এটি প্রচুর পর্যটককে আকৃষ্ট করবে এবং এটি পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নয়ন করবে।’

স্থানীয় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে ওই এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ আহমদ ভাট বলেন, ‘এটি জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.