বিরূপ আবহাওয়া ইয়াসের প্রভাব রাজশাহীর আমবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদকঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে গত দুই তিনদিন  যাবত রাজশাহী অঞ্চল মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টির সাথে হালকা ঝড়ো প্রবাহিত হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়েছে আম বাগান ও বাজারগুলোতে। স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি ও হাওয়ার কারণে বড় গাছগুলো থেকে আম নামাতে শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যার কারণে আড়ৎগুলোতে চাহিদা মোতাবেক আম আসছে না।
আজ শুক্রবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় জেলার বৃহৎ আমের বাজার বানেশ্বর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম আম আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নিদের্শনা মোতাবেক সকল প্রকার গুটি আম বেচা কেনা চলছে পুরোদমে। সেই সাথে ২৫ মে থেকে গোপাল ভোগ ও রাণীপছন্দ আম বাজারে আসছে। তবে গত দুই দিন থেকে বাজারে চাহিদা অনুসারে পরিমাণে অনেক কম। আর ২৮ মে শুক্রবার থেকে আসছে হিমসাগর বা ক্ষিরসাপাত আম।তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।
উপজেলার ভালুকগাছি নওদাপাড়া গ্রাম থেকে আম বিক্রি করতে আসা শরিফুল বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে গাছ ভেজা থাকে। তার ওপর মাঝে মধ্যে জোরে বাতাস বইছে। এই কারণে গত দুই দিন থেকে ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা বড় গাছে উঠতে চাচ্ছেন না। ছোট গাছ ও নিচে থেকে যদ্দুর আম নামাতে পেরেছি তাই বেঁচতে নিয়ে আসলাম। পাবনা থেকে আগত কয়েকজন আমব্যবসায়ী বলেন, আম বাজারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম ছিল। তবে আশা করছি আজ গতকালের চেয়ে বেশি আম আসবে।
বানেশ্বর বাজারের আম আড়তদার শাহীনুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর এখনো পুরোদমে বাজার জমে উঠেনি। তার মধ্যে দুর্যোগপূণ আবহাওয়ার কারণে বাগান মালিকরা আম কম ভাংছেন। তবে প্রশাসনিক নির্দেশনা মোতাবেক আজ থেকে ক্ষিরসাপাত আম আসা শুরু হয়েছে।এখন  বাজার আরও জমে উঠবে।
বানেশ্বর বাজার ইজারদার ওসমান আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের মোকাম এই বাজারে। এরপর বিড়ালদহ শিবপুরহাট এলাকার আড়ৎগুলোতে আম কেনা বেচা হয়। আম মৌসুমে আড়তগুলোতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তবে গত দুই তিন দিনের আবহাওয়ার কারণে বাজারে আম কম আসায় তাদেরও তেমন কাজ নেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.