বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সাড়ম্বরে রাজশাহী কলেজে ‘বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩১’ উদ্যাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সাড়ম্বরে রাজশাহী কলেজে উদযাপিত হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩১। সকাল পোনে ১০টায় রবীন্দ্র-নজরুল চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে নববর্ষকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক।
এরপর ছিল বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বর্ণিল পোশাক ও নানান সাজে সজ্জিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের উচ্ছ¡ল অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি হয়ে ওঠে অনবদ্য। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, চালুন-কুলা হাতে শত শত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ শোভাযাত্রাটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
শোভাযাত্রা শেষে চলে বর্ষবরণের আপ্যায়ন। প্রতিটি বিভাগ শিক্ষার্থীদের বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার চিড়া, মুড়ি-মুড়কি, দই-মিষ্টি প্রভৃতি পরিবেশন করে। সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়েজিত বিশেষ ‘বৈশাখী মেলা’র উদ্বোধন করেন। এসময় তাঁরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি ও বিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহŸায়ক প্রফসর ড. মোসাঃ ইয়াসমীন আতকার সারমিন, সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শিখা সরকার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকমÐলী, শিক্ষার্থীসহ কলেজের কর্মচারীবৃন্দ।
উপাধ্যক্ষ মহোদয় বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি ও বিবর্তন বিষয়ে আলোচনা করে বলেন- আবহমান বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। বছরের বিশেষ এই দিনটিতে আমরা সর্বস্তরের বাঙালিরা ফিরে যাই আমাদের চিরচেনা পুরোনো সংস্কৃতির মাঝে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন- বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের এক উজ্জ্বল ও আনন্দময় উৎসব।
এই উৎসব বাঙালির সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা ও জরাজীর্ণতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিরতি দেওয়া হয় এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় পুনরায় শুরু হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে স্থানটি জনারণ্যে পরিণত হয়। সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় সমাপ্তি ঘটে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান-ইসালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.