বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিয়ে চীনের উদ্বেগ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চলে জীবন-জীবিকার বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে চলমান বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান উদ্বিগ্ন করে তুলেছে চীনা কর্মকর্তাদের। সেখানে বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে তারা গভীর শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে ইসলাম খবর জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের জনগণ বুঝতে পেরেছে যে চীনের বিনিয়োগের পেছনে রয়েছে তার নিজস্ব অর্থনৈতিক আর ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। কারণ পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরেও চীনের বাণিজ্যিক ও সামরিক স্বার্থ রয়েছে।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদর বন্দরকে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে সংযুক্ত করেছে, যার বাজেট ৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সিপিইসির মাধ্যমেই কমিউনিস্ট চীনকে গুরুত্বপূর্ণ গোয়াদর বন্দরের মাধ্যমে আরব সাগরে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনের হতাশা বাড়ছে। কারণ গোয়াদরে মাত্র তিনটি সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। বিপরীতে পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মতো প্রায় ২০০ কোটি ডলারের এক ডজন প্রকল্প অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
অন্যদিকে বেলুচিস্তান সরকার স্থানীয় জেলেদের তাদের শ্রম অধিকার রক্ষা করে শ্রমিকের মর্যাদা দেওয়ার কথা বলে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছে।
গোয়াদরের স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ বলেছে, যে তারা দিনরাত সাগরে টহল দিচ্ছে। তবে হাগ দো তেহরিক সদস্যসহ গোয়াদরের স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্থিতি সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় আস্থা পাচ্ছে না।
সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর জরুরি আইনের মাধ্যমে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের একসঙ্গে সমাগমকে নিষিদ্ধ করেছিল বেলুচিস্তান প্রশাসন। এরপর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.