বিশেষপ্রতিনিধি: রাজশাহীতে নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফহোম) বিনা চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নারীর নাম জুলেখা খাতুন (৫৫)। তিনি ২০১১ সাল থেকে রাজশাহীর বায়া সেফ হোমে রয়েছেন।
গততাল মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সারাদিন তাকে কোন চিকিৎসা হয়নি। রাত ১০ টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেফ হোম ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জুলেখা। এর পর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে সম্পূর্ন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু বায়া সেফ হোমে তাকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করাতেন পরিচালক।
এতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেফ হোমের শিনির নামের একজন ভিক্টিম ও একজন আনসার সদস্য তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সেফ হোমের ওই নারীকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
বায়া সেফ হোমের পরিচালক মোছা: লাইজু রাজ্জাক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ২০১১ সাল থেকে সেফ হোমে রয়েছে জুলেখা খাতুন। তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এর আগেও জুলেখা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার চিকিৎসার কাগজপত্র আছে। গত মঙ্গলবার হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
তবে তাকে নির্যাতন বা শ্রমিকের কাজ করানোর বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.