বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের বিভিন্ন শহর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে ইউরোপের বিভিন্ন শহর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে এক লক্ষেরও বেশি লোক সমবেত হয়।
বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেট থেকে ভিক্টরিকলাম পর্যন্ত দীর্ঘ রাজপথ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তিন কিলোমিটার দূরের আলেকজান্ড্রাপ্লাৎজ পর্যন্ত পুরো এলাকাটাই মানুষে ভরে যাবে।
এ ছাড়া লন্ডন, প্যারিস, আমস্টার্ডাম, মাদ্রিদ, ও আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বিক্ষোভ হয়।
অন্যদিকে রাশিয়াতেও যু্দ্ধবিরোধী আন্দোলনকারীরা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার আক্রমণ শুরুর পর থেকে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য তিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদকারীকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি বৈঠক কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেনের সরকার জানায়, তারা বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসতে রাজী হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে টেলিফোনে কথা বলার সময় তিনি সীমান্ত এলাকায় প্রিয়াপাত নদীর কাছে রাশিয়ানদের সাথে কোনো শর্ত ছাড়াই দেখা করতে রাজী হয়েছেন।
লুকাশেঙ্কো কথা দিয়েছেন যে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের সেখানে যাওয়া, কথা বলা, এবং ফিরে না আসা পর্যন্ত রুশ যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ব্যবহার হবে না।
এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন যেহেতু বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর রুশ আক্রমণ হচ্ছে তাই বেলারুশের ভেতরে কোন বৈঠকে তারা যাবেন না।
ইউক্রেনের প্রাণপণ লড়াই আর ইউরোপের জনগণের প্রতিবাদে উত্তাল এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইইউ তার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত এরকম কোন পদক্ষেপ নিলো।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে যে তারা ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান পাঠানো শুরু করতে চাইছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লাইন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ পদক্ষেপ এক মোড়বদলকারী মুহূর্ত।
তিনি আরো কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন যার মধ্যে আছে রাশিয়া ও বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া সকল রুশ বিমানের জন্য ইউরোপের আকাশসীমা ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.