বাগেরহাটে আপেল খ্যাত টমেটোর চাষ বাড়ছে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন শহর বন্দরে রপ্তানি হচ্ছে

 বাগেরহাট প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণাঞ্চল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলাতে আপেল খ্যাত টমেটো সারাদেশে সাড়া জাগিয়েছে।এটি দেখতেও অনেকটা অপেলের মত। যে কারনে এটি বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় চাষিরা অনেক লাভবান । উন্নত জাতের এসকল টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন সহর বন্দরে রপ্তানি হচ্ছে।
স্থানীয় চাষী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টমেটো চাষে এই এলাকা এখন বিখ্যাত। এখানে আগাম প্রচুর জমিতে টমেটোর চাষ হয়। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এটি পাকতে শুরু করে। এ সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টমেটো কিনতে পাইকাররা ভিড় জমান। ফলে দামও বেশ চড়া থাকায় টমেটো চাষ করে বড় অংকের টাকা চাষিদের ঘরে আসে। সে কারনে টমেটো আবাদে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।
উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের টমেটো চাষি ভগিরথ মন্ডল, উমাজুড়ী গ্রামের সমির বাড়ৈ, শুরশাইল সেকেন্দার ফরাজীসহ অনেকে বলেন, আগাম টমেটো চাষে লাভবান তারা। প্রতি মণ টমেটো বর্তমান ৩৫০ থেকে ৪০০ বিক্রি করেছেন। এতে আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশী তারা।
স্থানীয় টমেটো ব্যবসায়ী এমদাদুল হক, হাফিজ ফরাজী, শহিদ মোল্লা, ও রেজাউল হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান পান পাতা, হাইটম, বিউটিফুল-২, চক্র, মেজরসহ প্রভৃতি টমেটো চিতলমারীতে উৎপাদিত হয়। এখানকার টমেটোর রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার টন টমেটো ট্রাক যোগে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় পাইকারদের বিড়ম্বনা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার অসীম কুমার দাশ বিটিসি নিউজকে বলেন, এ বছর ৬শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষ করার লক্ষমাত্র ধরা হয়। পরে তা বেড়ে ৬৫০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদিত টমেটোর ফলন হয়েছে ২২হাজার ৭৫০ মেট্রিকটন। চাষির ঘরে যার আসবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.