বাগমারায় ইউপি নির্বাচনে ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে নানা গুনজন

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনে একাধিক নির্বাচনী অফিস স্থাপন ও আস্ত প্রতীক ঝুলিয়ে রাখায় সেগুলো অপসারণ করেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একই প্রার্থীর একাধিক অফিস, বেশী মাপের প্রতীক, আস্ত মোটরসাইকেল ও জীবন্ত পশুর ছবি ঝুলানোর অভিযোগে গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার একদিন পরেই উপজেলা আ’লীগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের অপসরণের দাবিতে ঝাড়ু– মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর ভ্রাম্যমান আদালত ও আ’লীগের প্রতিবাদ সভা নিয়ে এলাকায় নানা গুনজন শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ৫ জানুয়ারী উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ৫ম দফায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আচারনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায়।
এই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষমতাসীন দলে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী নরদাস ইউনিয়নের (সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক) গোলাম সারোয়ার আবুলের নৌকা প্রতীক, গোবিন্দপাড়া আ’লীগের প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি আল মামুনের নৌকা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেল প্রতীক বাসুপাড়া, ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জব্বারের আনারস প্রতীকে সরকারী যাত্রী ছাউনি জায়গায় ও আ’লীগের প্রার্থী মাষ্টার লুৎফর রহমানের নৌকা প্রতীকের অফিস গুড়িয়ে দেয়।
এ সময় সিটি ম্যাজেস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাড়াও পুলিশ, আনসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দপ্তরের লোকজন এই অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা, মোটরসাইকেল ঝুলিয়ে রাখাসহ অবৈধ সরকারী জায়গা দখল মুক্ত ও সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রার্থীদের নির্বাচন অফিস অপসরন ও প্রতীক ভাঙচুর করার ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষ সাধুবাদ জানালেও ওই সব প্রার্থীদের মধ্যে বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় উপজেলার হাট-বাজারে শুরু হয়েছে নানা গুনজন। এ বিষয়ে ভোটারা ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি ও সকলের সমান অধিকার বজায় থাকছে বলে মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এই ধারা অব্যাহতম রাখার দাবি জানান সাধারনরা।
অপর দিকে উপজেলা আ’লীগের পক্ষে এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের হুমকী আখ্যা দিয়ে বুধবার বিকেলে প্রতিবাদ সভা করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগানও দেয়।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা পরেই উপজেলা আ’লীগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের অপসরণের দাবিতে ঝাড়ু– মিছিল ও আ’লীগের প্রতিবাদ সভা নিয়ে এলাকার মানুষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা ও উপজেলা আ’লীগের প্রতিবাদ সভা আসন্ন নির্বাচন হুমকী স্বরুপ অবস্থা হচ্ছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। বিষয়টি সাধারন ভোটারদের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর ভ্রাম্যমান আদালত ও আ’লীগের প্রতিবাদ সভা নিয়ে এলাকায় নানা গুনজন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় সকলের সুযোগ সুবিধা করতে আমারা কাজ করছি। কোন ইউনিয়নে তিনটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প থাকায় তা অপসারণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করে যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.