বীর মুক্তিযোদ্ধা জলিলের মৃত্যুতে বাগেরহাট সন্তান কমান্ড এর গভীর শোক প্রকাশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার শেখ আব্দুল জলিলের মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড বাগেরহাট জেলা শার পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। দক্ষিণ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আর এক কিংবদন্তির মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও বাগেরহাটের উপজেলা পরিষদের প্রথম এবং সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল জলিল (৭৬) মৃত্যুতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড পক্ষ থেকে.গুণী ওই মানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ,বিবৃতি দাতারা হলেন .বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সভাপতি সাংবাদিক মাসুম হাওলাদার. জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন লেমন.সাংগাঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আজাদুল হক,যুগ্নসম্পাদক রেজাউল কবির.প্রচার সম্পাদক রেজাউল ডাকুয়াসহ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মুজিবুর রহমান ,জুবায়ের রহমান নিকি.আমেনা আক্তার লাকি, আজমল হাওলাদার,মিজানুর রহমান,এ্যাডঃ লিটন শেখ.আশিকুর রহমান ,কবির হোসেন,মোঃ মাসুদ মীর, আসমা আক্তার প্রমুখ।মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও বাগেরহাটের উপজেলা পরিষদের প্রথম এবং সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল জলিল (৭৬) আর নেই। সোমবার সকালে তিনি নিজ বাড়ীতে স্ট্রোক করলে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
সোমবার আসরবাদ বাগেরহাট কোর্ট মসজিদ চত্বরে জানাযা শেষে রামপাল উপজেলা সদরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফনের আগে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন, বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মরহুম মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র ছেলে রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী এ খবর নিশ্চিত করেন। রামপাল উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বহুগুনে গুণান্বিত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আ. জলিলের মৃত্যুতে রামপাল, মোংলা তথা বাগেরহাটবাসী একজন গুনি জনকে হারালো। শেখ আ. জলিল যুদ্ধকালীন সময়ে রামপাল-মোংলা ও খুলনার দক্ষিণাঞ্চলের মুজিব বাহিনীর শাখা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
তার নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বরের তিন দিন পূর্বে ১৩ ডিসেম্বর রামপাল ও মোংলা স্বাধীন ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি নিজ হাতে গড়া রামপাল গিলাতলায় হাজী আরিফ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং কিছু দিন দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৫ সালে রামপাল উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি রামপালের ঐতিহ্য রক্ষায় সৃজনশীল কার্যক্রম শুরু করেন। গড়ে তোলেন, শিল্পকলা একাডেমি, লাইব্রেরীসহ নানান প্রতিষ্ঠান। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও তার সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। ব
হু অনাথ ছাত্র- ছাত্রীদের তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আরও একজন গুণী সংগঠক সর্বজন শ্রদ্ধেয় গাজী আব্দুল জলিল এর স্মৃতি সংরক্ষণে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে গাজী আ. জলিল নামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলেন। উপকূলের বাসিন্দা ও জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা সিডিপি নামের একটি এনজিও’র সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন।
মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি শিক্ষা প্রসারে ও শিক্ষার মানোন্নয়নে নিবেদিত ছিলেন। গুণী ওই মানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বাগেরহাট জেলা শার সকল নেতা কর্মি
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.