বাইডেন’র মাথা ব্যথার কারণ হতে পারেন এরদোয়ান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী বছরের জানুয়ারীতে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা নেবেন জো বাইডেন। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়েও আরও আন্তরিক ও স্বৈরশাসকদের প্রতি কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে, পররাষ্ট্রনীতিতে জো বাইডেনকে আরও অনেক বেশী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জো বাইডেন হোয়াইট হাউজ ছেড়ে আসার পর অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। ট্রাম্প কিংবা তার নিজের কারণে সৃষ্ট শত্রুরাও আরও অনেক বেশি সক্রিয় এখন।

জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতির বিপরীত পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেশগুলোর সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন জো বাইডেন। তবে চীনের ক্ষেত্রে বাণিজ্য ইস্যুতে ট্রাম্প যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তা বজায় রাখবেন তিনি।

বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি মেনে চললে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। এছাড়া ন্যাটোর সঙ্গেও পুনরায় আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় মার্কিন সিনেটের বৈদেশীক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা প্রাজ্ঞ এ রাজনীতি এ বিষয়গুলোতে খুব সহজেই সফল হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে গত চার বছরে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে যে পরিবর্তন হয়েছে তাতে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।

জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। বিশ্লেষকরা বলছেন নিজদেশে ব্যর্থতার দায় ঢাকতে সিরিয়া, লিবিয়া, আর্মেনিয়ায় সশস্ত্র সংঘাতে ইন্ধন দেয়া এরদোয়ান গ্রিস ও ফ্রান্সের সঙ্গেও উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে চলেছেন এরদোয়ান।

ঐ অঞ্চল থেকে ট্রাম্পের সরে পড়ার মানসিকতার কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে যুদ্ধে সমর্থন দিয়ে চলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তবে এরজন্য ট্রাম্পের পাশাপাশি ওবামা ও বাইডেনের আগের সময়ের সিদ্ধান্তও দায়ী বলে মনে করেন অনেকে।

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সকে আবারো রাজী করানোর মতো চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হবে বাইডেনকে। তবে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর ওপর বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের ওপর নির্ভর করবে বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতি কতটা সফল হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.