বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত, কপাল খুললো দ. আফ্রিকার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডেটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সরাসরি বিশ্বমঞ্চে খেলতে আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচই জিততে হতো।
তবে ম্যাচটি ফলাফল শূন্য হওয়ায় এখন আয়ারল্যান্ডকে খেলতে হবে বাছাইপর্বে। ২-০ তে বাংলাদেশকে হারালেও পয়েন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে অষ্টম হতে পারবে না আইরিশরা।
চেমসফোর্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ৭০ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন মুশফিক। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪ ও তোহিদ হৃদয়-মেহেদি হাসান মিরাজ ২৭ রান করে করেন।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ বলে আয়ারল্যান্ড পেসার জশ লিটলের দারুণ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর আউট হন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। রিভিউ না নিয়ে ৬৭তম ওয়ানডেতে দশমবারের মত শূন্যতে বিদায় নেন লিটন।
লিটন ফেরার পর ২টি চার আদায় করে নিলেও চতুর্থ ওভারে থামতে হয় বাংলাদেশের আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১৪ রান করা তামিম। ১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোয় চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
দলকে চাপমুক্ত করতে তৃতীয় উইকেটে বড় জুটির আভাস দিয়েও ৩৭ রানে বেশি তুলতে পারেননি শান্ত ও সাকিব আল হাসান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা সাকিবকে বোল্ড করেন পেসার গ্রাহাম হুম। ৪টি চারে ২১ বলে ২০ রান করেন সাকিব।
দলীয় ৫২ রানে সাকিবের বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন হৃদয়।
আইরিশ বোলারদের দারুণভাবে সামলে ২১তম ওভারে দলের রান ১শতে নেন শান্ত ও হৃদয়। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি হবার পরই পেসার কার্টিস ক্যাম্পারের বলে অ্যাডায়ারকে ক্যাচ দেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৭টি চারে ৬৬ বলে ৪৪ রান করে আউট হন তিনি।
উইকেটে সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি হৃদয়। হুমের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৩১ বলে ২৭ রান করা হৃদয়। ২৭তম ওভারে ১২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় বড় জুটির প্রত্যাশা ছিল টাইগারদের। সেটি পূরণ করেন মুশফিকু রহিম ও মিরাজ। দ্রুত রান তুলে ৪২ বলে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা।
মুশফিক-মিরাজের জুটি বড় হবার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্পিনার জর্জ ডকরেল। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে স্টিফেন ডোহেনিকে ক্যাচ দেন ৪টি চারে ৩৪ বলে ২৭ রান করা মিরাজ। মুশফিকের সাথে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৬ বলে ৬৫ রান যোগ করেন তিনি।
মিরাজ ফেরার পর ২৪৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বার্থ ডে বয় মুশফিক। ১৯ রানে জীবন পেয়ে ৬৩ বল খেলে ৫টি চারে অর্ধশতক পান তিনি। মুশফিকের হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রান ২শ’ পার হয়। শেষ পর্যন্ত লিটলের বলে আপার কাট শটে ৬১ রানে আউট হন মুশি। ৭০ বলের ইনিংসে ৬টি চার মারেন নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটার।
শেষ দিকে তাইজুল ইসলামের ১৪ ও শরিফুল ইসলামের ১৫ বলে ১৬ রানে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডের লিটল ৬১ রানে ৩ উইকেট নেন। অ্যাডায়ার-হুম ২টি করে শিকার করেন।
জবাবে দলীয় ২২ ও ব্যক্তিগত ১৫ রানে পল স্টার্লিংকে সাজ ঘরে ফেরান শরিফুল। অধিনায়ক এন্ডি বালবার্নি ৫ ও স্টেফেন দোহানি ১৭ রান করে আউট হন। এরপর ১৬ দশমিক ৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে আর শুরু করা যায়নি।
পরে ম্যাচ রেফারি খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
আগামী ১২ মে চেমসফোর্ডেই হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.