বাংলাদেশে বিনিয়োগে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির (সিবিআই) প্রেসিডেন্ট চেলসির লর্ড করণ বিলিমোরিয়া আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেস্বর) যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, লর্ড বিলিমোরিয়া যুক্তরাজ্যের কারি শিল্পের উন্নয়নে তার কাজ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন উন্নয়ন গবেষণায় তার সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
লর্ড বিলিমোরিয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নীতি সমুন্নত রাখা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান পার্সি বংশোদ্ভুত যিনি যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসে স্থান পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে লর্ড বিলিমোরিয়ার প্রয়াত পিতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল ফরিদুন বিলিমোরিয়ার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অনেকের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। তিনি এই মাসের শুরুতে ভারত সফরের সময় তাদের বংশধরদের জন্য একটি বৃত্তি প্রবর্তন করে ভারতীয় শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তার প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন।
লর্ড বিলিমোরিয়া বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হিসেবে বাংলাদেশের সাথে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তার পছন্দের একটি বিষয়ে বক্তৃতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিকাশমান স্টার্ট-আপ পরিস্থিতি এবং “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্যে সম্পন্ন করা কাজ সম্পর্কে লর্ডকে অবহিত করেন। লর্ড বিলিমোরিয়া ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অংশীদারিত্বের সুযোগ অন্বেষণে আগ্রহ সম্পর্কে মতবিনিময় করেছেন।
তারা উভয়ই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়াত রানীর অসাধারণ সেবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.