বদলগাছীতে শিক্ষকদের কাছ থেকে পিকনিকের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছীতে পিকনিক ও সংবর্ধনার নামে শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্ব-স্ব ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট তাদের চাঁদার টাকা জমা দিয়েছেন। চাঁদার টাকা বাধ্যতামূলক হওয়ায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে হয়রানি ভয়ে কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

জানাগেছে, আগামী মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে সকল শিক্ষকদের নিয়ে পিকনিক ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার ১৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ৪শ টাকা ও দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরীদের ২শ টাকা করে চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন শিক্ষা অফিসার। এছাড়াও সকল শিক্ষকদের নিজ খরচে নির্দিষ্ট স্থানে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। ওই পিকনিকে বদলগাছী-মহাদেবপুর আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার পছন্দের কয়েকজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে সংবর্ধনা ও পিকনিকের পরিকল্পনা করেন। এরপর পিকনিকের খরচ জোগাতে শিক্ষকদের উপর বাধ্যতামূলক চাঁদার চাপ সৃষ্টি করেন। সংবর্ধনার দায়িত্ব শিক্ষা অফিসের। কিন্তু বাধ্যতামূলক করায় এখন টাকা দিতে হচ্ছে। পরবর্তীতে হয়রানি করার ভয়ে প্রতিবাদ করারও কোন সাহস পাচ্ছিনা বলে অভিযোগ করেন তারা।

মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহার আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, তার ইউনিয়নে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বেশির ভাগ শিক্ষকই চাঁদার টাকা দিয়েছেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বরত শিক্ষক আব্দুর রউফ বিটিসি নিউজকে বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য কোন বাজেট নির্দিষ্ট করা হয়নি। যারা টাকা দিবেন তাদের উপরই বাজার করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে জোর পূর্বক কোন শিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে না।

শিক্ষকদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা আদয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, পিকনিক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শিক্ষকদের। মূলত তারাই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমাদের দাওয়াত করেছেন।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুম আলী বেগ বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল বিটিসি নিউজকে বলেন, শুনেছি অনুষ্ঠানে কোন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। যারা অনুষ্ঠানে যাবে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। আর যারা যাবেনা তাদের চাঁদা দিতে হবেনা। তবে অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.