বকেয়া প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা সান্তাহার স্টার হোটেল সীলগালা করার ২০ দিনেও সুরাহা হয়নি


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বকেয়ার দায়ে আদমদীঘির সান্তাহারের অতিপরিটিত স্টার হোটেলের মালামাল জব্দ করে রেলওয়ে কৃর্তপক্ষ হেফাজতে নিয়ে সীলগালা করার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও বকেয়া আদায় কিংবা মালিকানার কোন সুরাহা হয়নি। ফলে এই স্টার হোটেলের বকেয়া প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানাযায়, ওছমান গনি নামের এক ব্যক্তি সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের পাশে রেলওয়ের সম্পত্তি লীজ নিয়ে সেখানে স্টার হোটেল নাম নিয়ে একটি খাবার হোটেল চালু করে দীর্ঘদিন আগে। ক্রমেই হোটেলটি খাবার মান ভাল করায় এর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
ওসমান গনি ইন্তেকাল করার পর তার জুয়েল নামের এক ছেলে হোটেলের দায়িত্ব নিয়ে চালিয়ে আসছিল। হোটেল চলাকালে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান খুলে জামানতের নামে বিপুল অংকের টাকা গ্রাহকদের নিকট থেকে আদায় করে তা পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে জামানতকারিদের চাপের মুখে জুয়েল গা ঢাকা দেয়।
সম্প্রতি স্টার হোটেলটি জামানত কারি নারীরা দখলে নেন। এমতাবম্থায় গত ১৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান অভিযান চালিয়ে স্টার হোটেলের ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ বছরের খাজনা বাবদ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকায় ওই হোটেলের মালামাল জব্দ ও সীলগালা করে হোটেল বন্ধ করেন।
সীলগালা করার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও মৃত ওছমান গনির ছেলে জুয়েল কিংবা অন্য কোন ওয়ারিশগন বকেয়া খাজনা পরিশোধ না করায় রাজস্ব আদায় অনিশ্চয়তা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা স্টার হোটেলটি পুনরায় চালুর দাবী জানিয়েছেন।
রেলওয়ে পাকশি বিভাগের ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান বিটিসি নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত লীগ গ্রহিতা বা তাদের ওয়ারিশগন বকেয়া খাজনা পরিশোধ করেনি। যদি বকেয়া আদায় না হয় তবে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.