ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-২০

উজিরপুর প্রতিনিধি:  বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় ৪৮ তম গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবলসহ কয়েকটি ইভেন্টের খেলা সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের খেলোয়ারদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে অভিভাবকসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩জনকে আশংকা জনক অবস্থায় উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবুগঞ্জ-মীরগঞ্জ সড়কের বকুলতলা ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত সূত্রে জানা গেছে গত সোমবার বিকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার স্টেডিয়ামে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলায় বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রহিমগঞ্জ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলার প্রথমার্ধে খেলায় রেফারির ভুল সিন্ধান্তের কারনে বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলোয়াররা প্রতিবাদ করলে দুই গ্রূপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটলে আধাঘন্টা খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

খেলা কমিটি বিতর্কিত রেফারি শাহিনের পর্রিবতে আবুল কালাম আজাদকে রেফারির দায়িত্ব দেয়া হয়। খেলায় বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে হারায়।

খেলা শেষে শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকরা তাদের খেলোয়ারদের নিয়ে বকুল তলা ষ্টেশনের সংলগ্ন সুগন্ধ্যা নদীর ট্রলার ঘাটের দিকে রওয়ানা দেয়।

খেলার মাঠের ঘটনার জের ধরে বকুল তলা ষ্টেশনে বসে শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলোয়ারদেরকে বেধড়ক কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আহত অভিভাবকরা হলো মোঃ আলামিন হাওলাদার ও মোঃ রাজিব হোসেন। আহত ছাত্ররা হলো মোঃ রবিন ৯ম শ্রেণী, রাজিব ৯ম শ্রেণী,মোঃ ইউসুফ ৬ষ্ঠ শ্রেণী, মোঃ রুমান ১০ম শ্রেণী, সোলায়মান ১০ম শ্রেণী, জুয়েল ৭ম শ্রেণী সহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে মোঃ ইউসুফ, রবিন, রাজিবকে আশংকাজনক অবস্থায় উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন খেলার প্রথমার্ধে লাইন্সম্যান অফসাইট ও ফাউলের কথা বলা সত্বেও রেফারি শাহিন কর্নপাত না করায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াররা ১-০ গোল দেয়।

এ নিয়ে মাঠে দুই পক্ষের খেলোয়ারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা হলে খেলা আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে। খেলা পরিচালনা কমিটি খেলার দ্বিতীয়ার্ধে রেফারি শাহিনের পরির্বততে আবুল কালাম আজাদকে রেফারি করা হলেও তিনিও পক্ষপাতিত্বের আমাদের খেলোয়াররা দায়সার খেলা শেষ করেন।

খেলা শেষে ওই বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকের ইন্ধোনে আমাদের খেলোয়াড়দের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার বাড়ৈ বিটিসি নিউজকে বলেন বকুল তলা ষ্টেশনে ঘটনার সময় আমি আমার ছাত্রদের সাথে ছিলাম না, তবে সংর্ঘের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে গত সোমবার (৯ সেপ্টেন্বর) বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার বিটিসি নিউজকে বলেন খেলার শেষে পথে বসে সংঘর্ষের ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।

তিনি দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বলেছেন খেলা শেষে পথে বসে কোন কোন শিক্ষার্থী এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে সনাক্ত করে তার দফতরে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর বিচার করবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.