ফিল্মীস্টাইলে ছিনতাই : অতঃপর নির্মম হত্যা, সেজু হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন


নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সাচালক সেজু হত্যাকান্ডের রহস্য ১৬ দিনের মধ্যে উৎঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গত ২৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ওসমানী রোডস্থ আরজু হোটেলের সামন থেকে অটোরিক্সাচালক আবিদ উল্ল্যাহ সেজু তার গাড়িসহ নিখোঁজ হন।
পরে ২৭ অক্টোবর উপজেলার পূর্ব তিমিরপুর এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে সেজুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় সেজুর ভাই রাজু বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে মামলার অন্যতম আসামী শোয়েব মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং পুলিশী তদন্তের প্রেক্ষিতে মামলার অন্য আসামী মোঃ আমীর মিয়াকে গত ১০ নভেম্বর রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে একই উপজেলার রাইয়াপুর গ্রামের মৃত লিফাই মিয়ার পুত্র।
পরদিন গ্রেফতারকৃত আসামী আমীর মিয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্কীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে আসামী আমীর মিয়া জানায় ঘটনার দুই দিন পূর্বে সে তার সহযোগী শোয়েব মিয়া, সোহাগ মিয়সহ কয়েকজন মিলে মিসুক গাড়ী ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করে। এরই প্রেক্ষিতে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লেখিত স্থান থেকে ১ শত টাকা ভাড়া করে সেজু মিয়ার অটোরিক্সাসহ তাকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা তিমিরপুর ব্রিকফিল্ড ইটভাটার পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে সেজুকে হত্যা করে অটোরিক্সা নিয়ে চলে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মামলার ৪ জন আসামীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা ও অটোরিক্সা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.