বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সম্প্রতি মর্মান্তিক এক হেলিকপটার দুর্ঘটনায় নিহত হন। কপটার বিধ্বস্তের ঘটনায় নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।
যে কপটার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি নিহত হয়েছিলেন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। দেশটির জনগণ এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। এমনকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ রাইসির মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলে দাবি করেন। তবে ঐ হেলিকপটার বিধ্বস্তে কোনো ধরনের হামলার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে তথ্য দিয়েছে সে দেশের সামরিক বাহিনীর তদন্তকারী টিম। প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপটারে কোনো গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৯ মে হেলিকপটার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ আরো সাত কর্মকর্তা নিহত হন। এতে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা ইরান। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে নিজ জন্মস্থান মাশহাদে দাফন করা হয় তাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাগান এলাকায় গত রবিবার ঐ হেলিকপটার বিধ্বস্ত হয়। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারী দল। সেখান থেকে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপটারটি পূর্বনির্ধারিত পথ দিয়েই যাচ্ছিল। পার্বত্য এলাকায় হেলিকপটারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিতে আগুন ধরে যায়। পুরো হেলিকপটার পরীক্ষা করে বাইরে থেকে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার দিকে ইরানের কয়েকটি ড্রোন বিধ্বস্ত হেলিকপটারটিকে খুঁজে পায়। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা পৌঁছান। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হেলিকপটারটির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে থাকা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যে যোগাযোগ হয়েছিল। এ সময় ‘সন্দেহজনক’ কিছুই পাওয়া যায়নি। তদন্তকারী দলের হাতে আরো কোনো তথ্য এলে তা যথাসময়ে দেশের মানুষকে জানানো হবে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ আট জনের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ইরানের স্থায়ী মিশনে একটি শোক বই খোলা হয়েছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন জাতিসংঘের ৫০টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.