প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপকূলীয় এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

খুলনা ব্যুরো: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, উপকূলীয় এলাকা কয়রায় টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।ঝড়- জলোচ্ছাস বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপকূলীয় এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূলের বিভিন্ন বাধের অবস্থা অত্যান্ত ঝঁকিপূর্ণ। আমরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের মাধ্যমে উপকূলকে নিরাপদ রাখবো।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকাল ৪ টায় কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়ীয়া নদীর বিধ্বস্ত বেঁড়িবাঁধ ঘুরে এসে কয়রাবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

এসময় মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, কয়রা পাইকগাছার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু,উপাধ্যক্ষ এইচএম নজরুল ইসলাম।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে স্পীডবোর্ট যোগে আম্পানে বিধ্বস্থ কয়রার ৪ টি ইউনিয়নের ১৪ টি ক্ষতিগ্রস্থ বেঁড়িবাঁধ সহ ঝুকিপূর্ণ বাঁধ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নদরি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে এবং এ সময় ১৪ টি স্থানে ভেঙ্গে যায়। তবে ৮ টি বাঁধে স্বেচ্ছাশ্রমে পানি আটকানো গেলেও ৬ টি বিধ্বস্থ বাঁধ দিয়ে জোয়ার ভাটা অব্যহত আছে।

এদিকে কয়রা সদর ইউনিয়নে ঘাটাখালি বাঁধ না হওয়ায় কয়রা উপজেলা পরিষদ সহ স্কুল, কলেজ এবং ৬ টি ওয়ার্ড লবণ পানির জোয়ারভাটায় পানিতে ভাসছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.