প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় হাতীবান্ধায় শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত, শিক্ষক দম্পতি বিরুদ্ধে অভিযোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: একের পর এক বিতর্ক সৃস্টি করেই চলেছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের শিক্ষকরা। এবার স্বামীর নিকট প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় এক নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষক দম্পতি কাওলাদ হোসেন ও তাসনিম আরা মীমের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় প্রাইভেট চলাকালীন সহপাঠীর সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করে কক্ষে থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও, ওই কলেজের অধ্যক্ষ ও দিনাজপুর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই রিয়াদ হাসান।
অভিযুক্ত কাওলাদ হোসেন হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের গনিত বিভাগের শিক্ষক ও তাসনিম আরা মীম একই কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক। এরা দুইজন স্বামী স্ত্রী।
জানাগেছে, রিয়াদ হাসানের বোন ওই কলেজের একজন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী তাসনিম আরা মীমের নিকট জীব বিজ্ঞান প্রাইভেট পড়েন। সেই সুবাদে শিক্ষক তাসনিম আরা মীম ওই শিক্ষার্থীকে তার স্বামী কাওলাদ  হোসেনের নিকট গনিত প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করান। কিছু দিন কাওলাদ হোসেনের নিকট গনিত প্রাইভেট পড়ে বাদ দেয় ওই শিক্ষার্থী। আর এতে আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেট চালাকালীন ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভাই রিয়াদ হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন, এরা শিক্ষার্থীদেও শ্রেনী কক্ষে পাঠদান না করিয়ে। জোর পূর্বক জিম্মি করে প্রাইভেট পড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কাওলাদ হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, প্রাইভেট পড়বে না ভালো কথা। তার সাথে কোন খারাব ব্যবহার করা হয় নি। যেহেতু অভিযোগ করেছে সেহেতু তদন্ত হোক।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান আনিস বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ওই কলেজের সভাপতি নাজির হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই কলেজের শিক্ষক সুমন ও সাদেকুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী অভিযোগ উঠে, তা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক খবর প্রকাশ হয়। এছাড়া সম্প্রতি এই কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষের নেম প্লেট ভাংচুর করে শিক্ষকরা। ভাংচুরের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় শিক্ষকরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.