প্রাইভেট ডিটেকটিভ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে ওসি খাইরুল ইসলামকে বিদায়ী সংবর্ধনা

বিশেষ প্রতিনিধি “যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়” এরি ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলামকে অপরাধ অনুসন্ধানী প্রাইভেট ডিটেকটিভ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৬ই নভেম্বর) ২০১৯ইং পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ও ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক রুহুল আমীন খন্দকার ফুল এবং কিছু স্মৃতি চিন্হ স্বরুপ উপহারের মাধ্যমে ওসিকে আবেগ ঘনো পরিবেশে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করেন।

বিদায়ের পূর্ব মুহূর্তে প্রাইভেট ডিটেকটিভ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ব্যুরো প্রধানের সাথে সর্বশেষ সাক্ষাৎ কালে থানার বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, সংবাদপত্র ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে না সুস্থ ধারার সাংবাদিকরা হলেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, তারা সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক।

তানোর থানায় কর্মরত থাকা কালীন সুস্থ ধারার সাংবাদিকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাদের কথা আমার চিরদিন মনে থাকবে। আগামীতেও নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে সাংবাদিকদের আহবান জানান এই বিদায়ী ওসি।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলামেকে প্রাইভেট ডিটেকটিভ এর বিদায়ী সংবর্ধনার সময় তিনার পার্শে উপস্থিত ছিলেন তানোর থানার (তদন্ত) ওসি রাকিবুল হাসান ও প্রাইভেট ডিটেকটিভ পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক (রাজু)।

অপরদিকে, তানোর থানা স্টাফের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলামকে বিদায়ী সংবর্ধনায় ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। বিদায়ের পূর্ব মুহুর্তে প্রশাসনিক বিধি মোতাবেক লিখিত ভাবে থানার দায়ীত্বভার বর্তমার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওসি রাকিবুল হাসানের ওপর অর্পণ করে যান। তিনি রবিবার ১৭ই নভেম্বর ২০১৯ইং রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় দায়ীত্বভার গ্রহন করবেন বলে জানাযায়।

উল্লেখ্য, ওসি খাইরুল ইসলাম চলতি বছরের ৯ই মার্চ ২০১৯ ইং তানোর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন এবং সফলতার সাথে দায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন।

এ দিকে তানোর থানায় সল্প সময়ে নিজের কর্মদক্ষতায় সর্বস্থরের মানুষের কাছে প্রশংসিত ওসি খাইরুল ইসলামের বদলীর খবরে হতবাক তানোরবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্টাটাস দিয়ে আবেক প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা যা উল্লেখ যোগ্য।

ওসি খাইরুল ইসলাম তানোর থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং প্রতিরোধ ও মানুষের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনসহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে তানোরের আপামর জন-সাধারণের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেন তিনি।

তিনি প্রায় শুক্রবার ছুটির দিনেও বিভিন্ন মসজিদে “খুৎবার” আগে নামাজে আসা মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে মাদক, সন্ত্রাস, বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে জুয়া, বাল্যবিয়ে ও সামাজিক অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, অপরাধ বন্ধে, জাতীয় জরুরী ই-সেবা-৯৯৯ সহ মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়া তিনি তানোর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও এলাকার সুধী সমাজকে সাথে নিয়ে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অপরাধ বন্ধে জনসচেতনতা মূলক কর্মশালার মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

এ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে ও থানা কম্পাউন্ডে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা করেন, যার মাধ্যমে ছোট খাট অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.