প্রধানমন্ত্রী আজ পশ্চিমবঙ্গ  সফরে এসেছেন 

কলকাতা প্রতিনিধি: কোনও প্রধানমন্ত্রীর সফরে সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা জুড়ে এমন বিক্ষোভের নজির নেই। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মিছিল এসে, একএে  কলকাতার ধর্মতলায় গর্জে উঠল।

এক দিকে মোদী কলকাতায় এসে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন, অন্য দিকে আরসি, সিএএ, এনআরপি থেকে আজাদি চাইতে কলকাতার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ৷

আজ শনিবার বিকেল চারটের কিছু আগে কলকাতা বিমানবন্দরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান নামে । মোদীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংহ এবং রাহুল সিংহ।

বিমানবন্দরের বাইরে তখন বিক্ষোভের ঢল।  বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা, জাতীয় পতাকা, কালো বেলুন, কালো পতাকা নিয়ে ৷ বিক্ষোভ চলে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, গোলপার্ক, ধর্মতলা, হাতিবাগান, রাজারহাট-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৷

বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনও ভাবেই মোদীর কনভয় পথের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারেন, তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল। রেসকোর্স থেকে মোদীর কনভয় রাজভবনে পৌঁছয়। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই হাজির ছিলেন মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কিছু ক্ষণ বৈঠক হয়।  রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো। ” মমতা আরও বলেন, “ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। বুলবুলের সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। সিএএ, এনপিআর এবং  এনআরসির বিরুদ্ধে আমরা।  মানুষে মানুষে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা। আমরা চাই, সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করুন।

কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলেনিয়াম পার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন মোদী। জলপথে যাবেন বেলুড় মঠেও। আজকের রাত প্রধানমন্ত্রী সেখানেই কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৷ দু’দিনের কলকাতা সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদী।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.