পৃথিবীর পথে গ্রন্থের রিভিও

(মাহমুদুর রহমান সুজন)
লেখক: লোকমান হোসেন পলা
বইয়ের ধরণ: ভ্রমন 
প্রকাশনী: সিটিপালিশিং
প্রচ্ছদ:সেজুঁতি
মল্য: ১৫০/
প্রকাশকাল অমর একুশে বই মেলা ২০২০।
প্রচ্ছদ ও নামকরণ: ভাচ্যুয়াল এই বিশ্বকোষে মানুষ পাঠক এখন চোখ মেললেই দেখতে পায় হরেক রঙের মোরকে চোখ ধাধানো লিপি। তাই পাঠকের দৃষ্টিগোচর করার জন্য প্রিন্ট মিডিয়াও এমনি কলা কৌশলে তাদের প্রিন্ট সম্পাদনা করে থাকেন। তার ব্যাতিক্রম না করেই লেখক হয়তো যোগের সাথে তার বইটির নামকরণের সাথে প্রচ্ছদটি খাপ খাওয়াতে চার রঙা বাহার দেখতে পেলাম। গোলকটি ভিবিন্ন মানচিত্র খচ্চিত বইয়ের মোরকটিকে উজ্বল করে আছে। পাঠককে ভাবিয়ে দিবে দেশ থেকে দেশান্তর ঘুরে ভ্রমন পিপাসুদের সুখ স্মৃতি রচিত কোন গল্পের কথা।
লেখক: 
লোকমান হুসেন পলা: আমার সিনিয়র বন্ধু যার এখন অনেক উপাধি কবি, গল্পকার, গিতিকার, সাংবাদিক, পর্যটক ও বিশিষ্ট্য সংগঠক। সব মিলিয়ে তাকে নিয়ে গর্ব করার মতো যে তার সাথে আমার ওঠা বসা হয়েছে। তার স্বভাব-চরিত্র এই দুই আমার জানার ভেতর।তাই তাকে নিযে বেশী বাড়িযে বলে কাউকে নিয়ে তুষামুদি করার খেতাব নিতে চাইনা। তার সাথে উঠা বসার কারণেই তার লিখিত বইটি প্রথম পাঠক হিসেবে আমাকে সেই সুদুর প্রবাসে সফট কপি পাঠিয়ে দিয়েছে। বইটি ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখ থেকে যদিও প্রদর্শন হবার কথা বই মেলাতে তারি আগে আমি বই পড়ার সুযোগ পেযেছিলাম তাই নিজেকে ধন্য মনে করেছি। তার জন্য লেখকে ধন্যবাদ সহ তার আরো উন্নতি কামনা করছি।
”পৃথিবীর পথে” 
বইটিতে লেখক তার দেশ –বিদেশ ভ্রমনের কথা তুলে এনেছেন।  যে পথে সে হেটেছে তারি কথা, লেখক খোজে নিয়েছেন সেখানকার কৃষ্টি –কালচার। ইতিহাস কথনে তার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থানগুলোকে তুলে ধরেছেন। লেখক তার ভ্রমন কথা এতো যত্নকরে বলেছেনযে, পাঠককে নিয়ে যাবে ভ্রমন সংঙ্গী করে তারি সাথে।আমি নিজেও পাঠে তৃপ্তি পেয়েছি তাই আমার বিশ্বাস অটুট এখানে পাঠক মনে করবেন লেখকের সাথেই তার ভ্রমন চলছে। তার ঘুরা –ঘুরি ব্যাপ্তি যদিও ততো বড় আকারের নয় তারপরেও দেশের প্রতিটি জেলা সে ঘুরে সংগ্রহ করেছে যা তাই সে বইটিতে স্থান দিয়ে বইটিকে সমৃদ্ধ করছে। তারি সাথে দেশের বাহিরে সৌদি আরব, ইন্ডিয়া, নেপাল, মালয়শীয়া, সিঙ্গাপুর ঘুরে তার ভ্রমন কথা বইটিতে লিখতে কৃপনতা করেন নি। সব কথা বলা যায়না কতকথা থেকে যায় অগোচরে। সে অগোচর থেকে সে সব কথা লেখক তুলে এনেছেন তা তার সাংবাদিকতার দক্ষতার কারণে এতো বর্ণনা ধমী ভঙ্গিতে লিখার প্রয়াস পেয়েছে। সহজাত লিখন ভঙ্গী আছে তার লিখন রিতিতে, জলের মত ঘুরে ঘুরে লিখেন। লেখক লিখেছেন কি করে যে পথে সে ঘুরেছে সে পথে যেতে হলে কিকি ব্যাবস্থাপনা ধরকার। একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ কি করে ভ্রমনরষ সংগ্রহ করতে পারেন। বইটিতে পেয়েছি তেমন কিছু তথ্য- মুক্তিযুদ্ধার মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা দেশের মানুষের জীবনের গৌরবজ্জ্বল এবং অসাধারণ ঘটনা। এমন অনেক ঘটনার স্বাক্ষি ব্যাক্তিত্বতের সাথে লেখক পথে- ঘাটে মিলেছেন। লেখন লিখছেন এমন অনেক ঘটনার কথাও।
প্রকৃতি এক সে বিচিত্রময় কখনো এতো সুন্দর আবার বিপুল উদাসিন্য, খেলে মানুষের জীবন নিয়ে। মানুষের এসব বৈচিত্রময় সব কিছু চোখ দিয়ে দেখে সঞ্চিতকরণই অভিজ্ঞতা তা দেখতে হলে ঘর থেকে বের হতে চাই। আর এই বের হওয়ার নামই ভ্রমন। দেখতে হলে দূরে কোনসে দূরে কোথায় কি রয়েছে দেখার সেই নেশার নামই প্রকৃতি প্রেম। লেখকের যেমন প্রকৃত প্রেম রয়েছে তেমনি রয়েছে সাহিত্য প্রীতি। সে একাধারে সাংবাদিক,লেখক, কবি, গীতিকারও গল্পকার। তার এই নানান প্রতিভা সত্যি আমাকে তার একজন ভক্ত পাঠক করে নিয়েছে।
বইটির যে একটটি ভ্রমন গাইড হিসেভে সহায়ক হবে  ভ্রমন পিপাসুদের জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমি বইটির বহুল বিপন সহ লেখকের আরো অনেক উন্নতি কামনা করছি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.