পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ২০২০ ইং উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মানবতার ফেরিওয়ালা ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জাতির পিতার স্মরণে মাইকে বাজানো হচ্ছিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।

উল্লেখ্য, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর শিশুপাক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদর আসনের সাংসদ মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার।

তারপরেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং জেলা পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপরেই কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এদিকে ৭ মার্চ উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগর পক্ষে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ” বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিনে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করেছে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ-যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাংখিত মুক্তির লক্ষ্যে।

ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভীত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.