বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইন পড়তে ও বুঝতে হবে : মেয়র লিটন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইন, শব্দ পড়তে হবে, শুনতে হবে, বুঝতে হবে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি বাঙালি জাতিকে এক হাজার বছর দাসত্বের পর বীরের জাতিকে পরিণত করেছিল।

এক হাজার বছর আমরা গোলামী করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের শস্য-শ্যামলা মাটি, ফসল এতো বেশি হয়, এজন্য এদেশে মুঘলেরা, বিট্রিশরা, পরে পাকিস্তানীরা শাসন-শোষন করে নিঃস্ব করেছিল প্রায়। এই বাঙালি জাতিকে তৈরি করলেন বঙ্গবন্ধু। যে বাঙালি শোষিত হয়েছে, হাতে লাঠি ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র ধরেনি কখনো, সেই বাঙালি ৭ই মার্চের পর থেকে যুদ্ধের জন্য অস্ত্রসম্বলিত বাঙালিতে পরিণত হলো।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, আজকের দিনটি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো লাখো মুক্তিকামী জনতার সামনে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। এই ভাষণটি সকল মানুষকে মুুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা জুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকেরা। সেদিন ঘাতকেরা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারিনি।

সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। বক্তব্য আরো দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর ইকবাল ও অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মোঃ কামরুজ্জামান, সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, সাবেক সদস্য আহসানুল হক পিন্টু সহ মহানগর ও থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.