পুকুর ইজারায় দুর্নীতি: গোদাগাড়ীর ইউএনও এসি ল্যান্ডকে আদালতের শোকজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি পুকুর, জলাশয় ও দীঘি ইজারায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) শোকজ করেছেন আদালত। তাদের তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী জজ গোদাগাড়ী আদালতের বিচারক রোববার এ আদেশ দেন।

সম্প্রতি অনিয়ন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলাটি করেন গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ জাহানাবাদ গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুশের ছেলে শরিফুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী নিজে বিসমিল্লাহ সমন্বিত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি। কয়েক বছর ধরে তিনি সরকারি খাস পুকুর জলাশয় ইজারা নিয়ে মৎস্য চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

৪ মার্চ গোদাগাড়ী সহকারী ভূমি কমিশনার সানোয়ার হোসেন বাংলা ১৪২৫ থেকে ১৪২৭ সালের জন্য সরকারি খাস পুকুর, জলাশয় ও দীঘি ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন। এতে অভিযোগকারী শরিফুলসহ অন্যান্য সমিতির মৎস্যজীবীরা দরপত্র জমা দেন। দরপত্র যাচাই-বাছাই করে ১০ মে গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আকতারের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় প্রাপ্ত দরপত্রগুলো অনুমোদন করা হয়।

একই সঙ্গে উত্তীর্ণ দরদাতাদের সরকারি চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে চুক্তিনামা করতে নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচিত ৪০টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা সরকারের রাজস্ব কোডের মাধ্যমে ৫ লক্ষাধিক টাকা জমা করেন। কিন্তু ১৭ মে আকস্মিকভাবে চূড়ান্তভাবে গৃহীত দরপত্রগুলো স্থগিত ঘোষণা করে নোটিশে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

এতে মৎস্যজীবীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আকতার বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোকজের জবাব দেয়া হবে। পুকুর ইজারায় অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.