পাবনা জেলা বিএনপি: ত্যাগিনেতাদের বাদ দেওয়ায় তৃনমূলে অসন্তোষ

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি আবার গুরুপিংয়পে জড়িয়ে পরেছে।আহবায়ক সদস্য সচিবের গুরুপিংয়ের জন্য বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনে।
এদিকে সর্বশেষ পাবনা জেলা আহবায়ক কমিটি যে দুইটি উপজেলায় আহবায়ক কমিটি দিয়েছে,সেখানে প্রতিবাদের ঝড় বইছে এবং দল পরেছে বিব্রতকর অবস্থা। যাদেরকে দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। তারা কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করে বহিস্কার হয়েছে,কেউ দলের মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে বহিষ্কার হয়েছিলেন, কেই আওয়ামীলীগের রাজনিতির সাথে জড়িত। আবার বাড়ী সদর উপজেলায়, তাকে করা হয়েছে সুজানগর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব।
অপরদিকে কমিটি বাণিজ্যর মাধ্যমে যে দুইটি বিতর্ক আহবায়ক কমিটি দিয়েছে,তারাও ইউনিয়ন কমিটি করতে পারেনি,বরং গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়,ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির যাকে আহবায়ক করা হয়েছে জহুরুল ইসলাম বকুল,সে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০১৮ সালে উপজেলা নির্বাচন করায় তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কার হয়।
সদস্য সচিব করা হয়েছে আব্দুল হাকিম খানকে,সে ২০১৪ সালে মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে প্রাথী ঘোষনা করেন,তখন দলের মনোনিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বকুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে, যুগ্ন-আহবায়ক নাসরিন পারভীন মুক্তি বার বার দল থেকে বহিস্কার হয়েছে এবং জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে রাজনীতি করে।
অধ্যক্ষ আবু সাঈদ,যে কোন ভোট আসলে,সে সরাসরি আওয়ামীলীগের প্রাথীর পক্ষে কাজ করেন। তার পরও এই কমিটি ইউনিয়ন কমিটি করতে পারছে না। আহবায়ক সদস্য সচিবের মধ্যে গ্রুপিং শুরু হয়েছে, এদিকে সুজানগর উপজেলা কমিটি হয়েছে,যাকে আহবায়ক করেছে ,সে আজ ১৫/২০ বছর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত না এবং যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে, সে আওয়ামীলীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদকের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাজ করেন।সুজানগর পৌর বিএনপির যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।তার বাড়ী পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর।
সুজানগর উপজেলা পৌর বিএনপির কমিটি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতির কথা মতো দিলেও, এই উপজেলার আহবায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে ব্যাপক গ্রুপিং হয়ে গেছে, মাঝে মধ্যেই চলছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সাংগঠনিক ভাবে এই উপজেলা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এ সব অনিয়মের জন্য পাবনা জেলা আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু ও যুগ্ন-আহবায়ক নুর মাসুম বগা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন,কাজ করতে গেলে ২/১টা ভুল হওয়া স্বাভাবিক। আমার জানা ছিলো না ফরিদপুরে হাকিম মহাসচিবের স্বাক্ষর জাল করে বহিষ্কার হয়েছিল।
তবে জহুরুল ইসলাম বকুর বহিষ্কার প্রত্যাহার হয়েছে বলে তাকে আহবায়ক করা হয়েছে। তবে দলের আদেশ নির্দেশ যারা না মেনে বহিষ্কার হয়েছে,তাদের কোন দলীয় পদ দেওয়া ঠিক না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.