পাথরঘাটায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার-৩

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার মৃত নাদের আলী খানের ছেলে ফজলুল হক খান, মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ইউসুফ আলী এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ছোট টেংড়া এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বিটিসি নিউজকে জানান, ২০১৭ সালের ২২ মে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ভাই আবদুর রাজ্জাক, বোন জামাতা হযরত আলীসহ ৪/৫ জন খাকি পোশাকধারী ও ৫ থেকে ৭ জন অজ্ঞাত সাদা পোশাকধারীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪/৩৮০/৩৫৪/ ৪৩৬/২০১ ধারায় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে আবেদন করলে আইনি পর্যালোচনা শেষে ওইদিন বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মামলাটি আমলে নেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার উপরে বসে হত্যার উদ্দেশে গলায় ছুড়ি চালায়। পরদিন ৩০ জুন চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে আপন চাচা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে লাশ গোপন করে ফেলে। ১৮ আগস্ট বাদীর বাবা মতিয়ার রহমান ও ১ নং সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রীর বাবা মনোহর মিস্ত্রী চাচা কর্নধর মিস্ত্রীকে দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করে। পরে মনোহরের বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বরগুনা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.